সাধারণ মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও ঈদ আনন্দে ভাসছেন। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের পাঁচ কন্যার আনন্দ একটু বেশি। কারণ ঈদুল ফিতরে তাদের অভিনীত সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।

ফলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন— নুসরাত ফারিয়া, শবনম বুবলী, তমা মির্জা, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সুনেরাহ বিনতে কামালের ঈদ হবে হাই ভোল্টেজের। তা ছাড়া ওপার বাংলার ইধিকা পাল ও দর্শনা বনিক অভিনীত সিনেমাও বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।

নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘জ্বীন-৩’ সিনেমা ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। এতে ফারিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন আব্দুন নূর সজল।

আরো পড়ুন:

১৬ বছর পর মুক্ত পরিবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঈদ

আমিরাতের শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি

পরিচালক এম রহিম নির্মাণ করেছেন ‘জংলি’ সিনেমা। এতে সিয়াম আহমেদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন— দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু। সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য রচনা করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।

জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো ও তমা মির্জা জুটি বেঁধে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এবার তারা ‘দাগি’ সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। সিনেমাটিতে দেখা যাবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকেও।

শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। একটি আইটেম গানে নেচেছেন নুসরাত জাহান। শাহরিন আক্তার সুমির প্রযোজনায় ‘বরবাদ’ সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ।

শাকিব খান অভিনীত ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দর্শনা বণিক। সোহানী হোসেনের প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছেন ওয়াজেদ আলী সুমন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ