আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা পৌর এলাকার অনন্ত অঞ্চলের হরিজন কলোনিতে ছুরিকাঘাতে আরাফাত‌ হোসেন (১৮) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরাফাত পৌর এলাকার দক্ষিণ রাঘবপুরের ওমর আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় শহিদুল মেম্বারের সঙ্গে আরাফাতদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার মধ্যরাতে কলোনি এলাকায় আরাফাতকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে শহীদুলের লোকজন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পরই শহীদ মেম্বারের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় আরাফাতের লোকজন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান মন্ডল জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার মূল কারণ পরে জানানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন আর ফ ত এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ