আহতদের প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের
Published: 3rd, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকারের পক্ষ থেকে করা হবেও বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.
গত বুধবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুই দম্পতিসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত তিনজন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন-তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা, আরাধ্য বিশ্বাস ও দুর্জয় মণ্ডল। এরমধ্যে প্রেমা ও আরাধ্য বিশ্বাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, সবকিছু ডাক্তারদের পরামর্শেই হবে। এখান থেকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিতে হয় সেটাও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে করা হবে। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যদি বাইরে কোথাও নিতে হয় সরকারের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নেব। চিকিৎসকদের পরামর্শে যা করা দরকার সবটুকু আমরা করব।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আরাধ্যর মা-বাবা দুজনই মারা গেছেন। এটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। তার শারীরিক অবস্থা আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও শঙ্কামুক্ত না। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ফ র ক ই আজম সড়ক দ র ঘটন উপদ ষ ট আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।