বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বিমানে বাংলাদেশ নারী দল
Published: 3rd, April 2025 GMT
আইসিসি নারী ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাই খেলতে পাকিস্তানের বিমান ধরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৬ দলের লড়াই থেকে মাত্র দুটি দল ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের বিমান ধরে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ৯ এপ্রিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের যাত্রা। বাকি চার প্রতিপক্ষ হলো পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ কোচ সরওয়ার ইমরান চোখ রাখছেন জয়ে, “পাকিস্তানে পাঁচটা ম্যাচই আমরা ওয়ান বাই ওয়ান জিততে চাই। সেখানে আমাদের সঙ্গে দুইটা শক্তিশালী দলের খেলা রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান বাদে বাকি দলগুলোকেও আমরা ছোট করে দেখছি না, তবে তাদের বিপক্ষে জিতে কোয়ালিফাই করতে চাই।’’
আরো পড়ুন:
আবারো জরিমানা গুনলো পাকিস্তান
আইপিএলের জন্য ধোনির থাকা আবশ্যক: ক্রিস গেইল
সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সামনে সুযোগ ছিল তাদের হারিয়ে সরাসরির ভারতের টিকিট কাটা। কিন্তু সেবার ব্যর্থ হয় নারী দল। এবার দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছেন বাংলার মেয়েরা।
ঢাকা লিগ চলাকালীন মিরপুরে ক্যাম্প শুরু হয়েছিল মেয়েদের। ঈদেও ক্যাম্পে কাটিয়েছেন তারা। নিজেদের অনুশীলন নিয়েও সন্তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ।
“ব্যাটিং উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে, বোলিং উইকেটে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে এসব। স্ট্রাইক রেট কিভাবে কী করতে হবে সবকিছুই আমরা অনুশীলন করেছি। এখানে ২৫০ রান প্লাস উইকেট হবে। আমি আশা রাখি আমাদের ব্যাটাররা এটা করতে সক্ষম হবে।”
পাঁচ দলের মধ্যে পাকিস্তান-উইন্ডিজ যথেষ্ট শক্তিশালী। অন্য তিন দল বাংলাদেশ অপেক্ষা দূর্বল। এই তিন দলের সঙ্গে পাকিস্তান-উইন্ডিজের কোনো এক দলকে হারাতে পারলেও বাংলাদেশের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’
কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’
বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’