কলকাতার দ্বিতীয় জয়ে হায়দরাবাদের তৃতীয় হার
Published: 4th, April 2025 GMT
আইপিএলের এবারের আসর দারুণ এক জয় দিয়ে শুরু করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ম্যাচে তারা রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৪ রানে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল। কিন্তু এরপর টানা তিন হারের স্বাদ পেল তারা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) রাতে তাদের ৮০ রানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইডেন গার্ডেন্সে এদিন কেকেআর আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে। এরপর ১৬.
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন। বৈভব অরোরা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আন্দ্রে রাসেল ১.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট নেন। এছাড়া হরিষত রানা ও সুনীল নারিন ১টি করে উইকেট নেন।
কলকাতার বোলিং তোপে হায়দরাবাদের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে হেনরিখ ক্লাসেন ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। ১ চার ও ২ ছক্কায় কামিন্দু মেন্ডিস করেন ২৭ রান। নিতিশ কুমার রেড্ডি ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ ও প্যাট কামিন্স ২ চারে করেন ১৪ রান।
তার আগে কলকাতার ইনিংসে ফিফটির দেখা পান ভেঙ্কটেশ আয়ার ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ভেঙ্কটেশ ২৯ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন। রঘুবংশী ৩২ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫০ রান। এছাড়া আজিঙ্কা রাহানে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ এবং রিংকু সিং ১৭ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করেন।
বল হাতে হায়দরাবাদের মোহাম্মদ শামি, প্যাট কামিন্স, জিশান আনসারি, হর্ষল প্যাটেল ও কামিন্দু মেন্ডিস ১টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে ৪ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান নিয়েছে কেকেআর। ৪ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানি তথা দশম স্থানে আছে হায়দরাবাদ।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ উইক ট ন ন র ন কর কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।