বলিউডের নন্দিত অভিনেতা মনোজ কুমার আর নেই। আজ (৪ এপ্রিল) সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে তিনি মারা যান। খবর আনন্দবাজারের।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। তিনি সিরোসিস অফ লিভারে আক্রান্ত ছিলেন, যা তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটায়।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি মনোজ কুমারকে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মনোজ কুমারের প্রয়াণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মনোজ কুমারের অধিকাংশ সিনেমায় দেশপ্রেমের কথা ফুটে উঠতো। তাই তাকে ‘দেশভক্ত’ বলে সম্বোধন করা হতো। ‘পুরব পশ্চিম’, ‘রোটি কাপড়া আউর মকান’, ‘ক্রান্তি’র মতো সিনেমায় তিনি অভিনয় করে সবার হৃদয় করেন। বর্ষীয়ান এ অভিনেতার প্রয়াণে শোকবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইট) হ্যান্ডলে এ অভিনেতার বিখ্যাত কিছু সিনেমার কথা উল্লেখ করেছেন। মোদী আরও জানিয়েছেন, পর্দায় মনোজ কুমার যেভাবে দেশের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন, ভারত তা আজীবন মনে রাখবে। মনোজ কুমারের অভাব পূরণ করা যাবে না। প্রয়াত অভিনেতার পরিবারকেও সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রবীণ অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মনোজ কুমারের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্রের জন্য খ্যাত তিনি। তাই ‘ভারত কুমার’ বলে সম্বোধন করা হত তাকে। নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা শেষ দিন পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক বিরাট ক্ষতি।”

মনোজ কুমার ১৯৩৭ সালে ভারতের পাঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত   নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী হলেও চলচ্চিত্র অঙ্গনে সে যুগের ধারা মেনে তিনি নিজেকে মনোজ কুমার বলে পরিচয় দিতেন। ১৯৫৭ সালে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একের পর এক সিনেমায় কাজ করে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন । অভিনয়ের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধিতে ভূষিত হন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত মন জ ক ম র র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ