প্রিয়জনদের সাথে ঈদের ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চাপ কমলেও গাজীপুর ও রাজধানী ঢাকার সাভার, আশুলিয়া অঞ্চলের কর্মজীবিরা এ নৌরুটটি ব্যবহার করেন। ফলে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় রাজধানী ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
ইকবাল হোসেন সাভারের ইপিজেড এলাকায় একটি বেসরকারি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে ফরিদপুর গিয়েছিলেন। ইকবাল হোসেন বলেন, “কাল থেকে অফিস খোলা। ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের অনেক ভিড়। ফেরি পার হতে তেমন সময় লাগেনি, তবে ফেরিতে উঠতে সময় লেগেছে। ফেরি পার হয়ে ঘাট এলাকায় এসেছি।”
মরিয়ম বেগম রাজবাড়ী থেকে যাচ্ছেন বলিভদ্র এলাকায়। তিনি বলেন, “লোকাল পরিবহনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছি। ভিড়ে ফেরিতে উঠতে পারিনি, লঞ্চ ঘাটেও ভিড়। পরে ভিড় ঠেলে লঞ্চে পার হয়েছি। এখন পাটুরিয়া ঘাট থেকে নবীনগর যাবো, তারপর অন্য পরিবহনে বলিভদ্র যাবো। ঘাট এলাকায় অনেক ভিড়।”
ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে ইস্তিয়াক আহমেদ গাজীপুর যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিতে উঠতে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।”
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালক ইসমাইল মিয়া বলেন, “পরিবহনসহ লোকাল বাসে আজ ভিড় বেশি। ঘাট এলাকায় যানবাহনের সিরিয়ালও বেশি। ফেরি সবগুলো চললেও যানবাহনের ভিড় বেশি থাকায় পারাপারে সময় বেশি লাগছে।”
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী বলেন, “সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া লঞ্চ রুটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। দৌলতদিয়ায় লঞ্চগুলো যাওয়ার সাথে সাথে পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা উঠে পড়ছেন। এ নৌরুটে যাত্রী পারাপারে বিশটি লঞ্চ চলাচল করছে।”
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম ( বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, “সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহন ও যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনগুলো সিরিয়ালে রয়েছে এবং এসব যানবাহন সিরিয়াল অনুযায়ী পার করা হচ্ছে। এ নৌরুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। নৌরুটে ভিড় বাড়লেও পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় বাড়তি চাপ নেই, কোন ভোগান্তি নেই।”
ঢাকা/চন্দন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘ ট এল ক য় দ লতদ য় পর বহন
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট