স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তানিয়া আক্তার নামে গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কালিয়ানপাড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত জুয়েল রানা (৩৬) ওই গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আজ শনিবার তানিয়া আক্তারকে (২৫) আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। 

জুয়েল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ও আসামি তানিয়াকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত জুয়েল প্রায় ১৩ বছর আগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামের তাইজুদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। 

প্রতিবেশীরা জানান, ওই নারী ছিলেন সন্দেহবাজ। কোনো নারীর সঙ্গে কথা বললেই তানিয়া স্বামীকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রতি রাতেই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লেগে থাকত। গত শুক্রবার গভীর রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তানিয়া একটি লাঠি দিয়ে জুয়েলের মাথায় তিনটি আঘাত করে। এতে জুয়েল নিস্তেজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রতিবেশীরা এসে জুয়েলকে মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সমকালকে বলেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘদিনের কোন্দল ছিল। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের মাথায় তিনটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ