চুল ইমরান তাহিরের মতো। লম্বা, ঘাড় বেয়ে নেমেছে। দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনারের মতো মাথায় ব্যান্ডও আছে। রান আপ দেখলে মনে হবে সুনীল নারাইনের মতো। আর উইকেট পাওয়ার পর উদ্‌যাপন? কেসরিক উইলিয়ামসের নোটবুক উদ্‌যাপন। এই তিন মিলিয়েই লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের স্পিনার দীগ্বেশ রাঠি। শুধু স্পিনার নয়, রহস্য স্পিনার এবং রহস্যটুকু দিয়ে দীগ্বেশ এরই মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আইপিএলে সেরাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য তাঁর আছে।

আরও পড়ুনটানা দুই ম্যাচে ১২ জনের ব্যাটিং আর চারপাশ অন্ধকার—পাকিস্তানের ম্যাচে অদ্ভুতুড়ে ঘটনা১৯ ঘণ্টা আগে

শুক্রবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ম্যাচেই তাকিয়ে দেখুন। লক্ষ্ণৌর হয়ে বোলিং করেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে চারজনই ওভারপ্রতি ১০ বা তার বেশি রান খরচ করেছেন। শুধু একজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২১ রান, ওভারে পাঁচ রানের একটু বেশি। একটি উইকেটও নিয়েছেন। এই বোলারটিই দীগ্বেশ। মাথায় রাখতে হবে, বোলিংটি করেছেন ২০৩ রান তাড়া করতে ৬ উইকেটে ১৯১ রান তোলা মুম্বাইয়ের বিপক্ষে।

শুধু মুম্বাই ম্যাচই নয়, এবারের আইপিএলের লক্ষ্ণৌর হয়ে চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত একবারই এক ওভারে ৮ এর বেশি রান দিয়েছেন দীগ্বেশ। সব মিলিয়ে ৭.

৬২ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

ভালো লেংথে বোলিং করে রহস্যময় হয়ে উঠেছেন দীগ্বেশ রাঠি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 

জুলাই সনদের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই যোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে জড়ো হয়েছেন শতাধিক আন্দোলনকারী। ফলে শাহবাগ মোড়ের উভয়মুখেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। 

জুলাই যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম আপন। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ থানার মুখে, এমনকি আশপাশের মোড়গুলোতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

রেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের একাংশ জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। 
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর)’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা (বীর)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।

এর দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ রাষ্ট্রের ‘অবিচ্ছেদ্য কর্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের প্রতি অবহেলা বা অধিকার হরণকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের ভাষ্য, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এই দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলছেন, জুলাই সনদ আমাদের দাবি নয়, এটি আমাদের অধিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তেরি করে অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ