রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশি অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা–পুলিশ। রোববার কদমতলীর মুরাদপুর ক্যাপ্টেন মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজু মল্লিক ওরফে বাধা রাজু (৩৩), মো. অন্তর (২৫), মিজানুর শেখ (৩৫) ও  মো. মহসিন (৩৩)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি দা, দুটি সুইচ গিয়ার ও একটি রড উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

কদমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, কদমতলী থানার মুরাদপুর ক্যাপ্টেন মাঠের ভেতরে কয়েকজন দুষ্কতকারী ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

থানা সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি করতে তাঁরা দেশি অস্ত্রসহ ওই এলাকায় একত্র হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) সকালে ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৪), মো. শিশু মিয়া (৫৫), মো. শাহপরান (২৪), মো. ইমন (২৫), মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল আল মামুনসহ (২৩) ২০ জন।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২৫

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরদাবাদ গ্রামের সালাউদ্দিন ও শিপন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঈদের পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিরোধ মীমাংসায় আজ সকালে গ্রামে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। 

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ সদস্যরা। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০