মেসি খেললেন, গোল করলেন, দলকে পয়েন্ট এনে দিলেন
Published: 7th, April 2025 GMT
লিওনেল মেসি মাঠে নামবেন কি না রহস্য রেখে দিয়েছিলেন হাভিয়ের মাচেরানো। সামনেই কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে ‘বাঁচা-মরা’র ম্যাচ, তার আগে মেসি মাঠে নামবেন বলে নিশ্চয়তা দেননি ইন্টার মায়ামি কোচ। তবে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মেসি টরন্টো এফসির বিপক্ষে খেললেন এবং গোলও করলেন।
যে গোল ইন্টার মায়ামিকে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে সমতা এনে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এনে দিয়েছে ১-১ সমতার এক পয়েন্টও।
আজ পোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি-টরন্টো ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। দ্বিতীয় মিনিটে মায়ামির তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকেই বল জালে পাঠিয়ে টরন্টোকে এগিয়ে দেন ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি। জুভেন্টাসে খেলা এই সাবেক ইতালিয়ান উইঙ্গার অবশ্য বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে পারেননি। যোগ করা সময়ে পঞ্চম ও শেষ মিনিটে ১-১ করে ফেলেন মেসি। বক্সের মাথায় বল পাওয়ার পর ডান পায়ে বল থামিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে পাঠান তিনি।
এবারের এমএলএসে এটি মেসির চার ম্যাচে তৃতীয় গোল। আর ২০২৩ সালে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪তম। আর্জেন্টাইন মহাতারকার পেশাদার ক্যারিয়ারের গোলসংখ্যা এখন ৮৫৬টি।
সমতার প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মায়ামি ও টরন্টো কোনো দলই গোল করতে পারেনি। মায়ামি মাঠ ছাড়ে মৌসুমে দ্বিতীয় ড্র নিয়ে। ৬ ম্যাচে ২ ড্র ও ৪ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি এখন ইস্টার্ন কনফারেন্সের দ্বিতীয় স্থানে। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বাস ক্রু ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। এখনো পর্যন্ত জয়হীন টরন্টো ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে।
মায়ামির পরের ম্যাচ কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। গত সপ্তাহে প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল মায়ামি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: টরন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।