মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের প্রভাব বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অনুভূত হচ্ছে। এ ধাক্কায় ব্যাপক ধস নেমেছে এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে। গত সপ্তাহে দুই দিনের পতনের পর ওয়াল স্ট্রিট আবার সোমবার চালু হলে মার্কিন শেয়ারবাজার আরও ব্যাপক পতনের মুখে পড়তে পারে। এছাড়া গত সপ্তাহে মার্কিন শেয়ারবাজার ৬ লাখ কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে।

সোমবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময়) তাইওয়ানের প্রধান সূচক টিএআইইএক্স এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে। একই দিন জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচকে প্রায় 8 শতাংশ পতন হয়েছে।

আজ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইউরোপের শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচকে মার্কিন শুল্কনীতির ধাক্কা ছিল দৃশ্যমান। ইউরোপের শেয়ারবাজারের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় প্যান-ইউরোপিয়ান স্টক্স ৬০০ সূচককে। 

সোমবার দিনের শুরুতে জার্মানির ডিএএক্স সূচকটি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন হয়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া বেলজিয়াম স্টক মার্কেটে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ফ্রান্সের শেয়ারবাজার সিএসি৪০-এ ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ দরপতন হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে বিনিয়োগকারীরা আরও ভয়াবহ অস্থিরতার মুখে পড়বেন। শিগগিরই বাণিজ্যযুদ্ধের সমাধান অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।

অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ অরূপ রাহা বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়টি আগে থেকে অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু শুল্কের হার এত বেশি হবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। 

এটি একটি বিশাল ধাক্কা, এশিয়ার বাজারগুলোতে এর খুব বাজে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, আমি যদি একটি কোম্পানি পরিচালনা করি, তবে আমি এখনই কোনো দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেব না। কারণ, কেউই জানে না আসলে কী ঘটতে চলেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক কৌশলগত পরামর্শক ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এশিয়া গ্রুপের সহযোগী রিন্টারো নিশিমুরা বলেন, এই শুল্ক কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা কাজ করছে। আর এটাই মূলত শেয়ারের দামে বড় ধস নামার প্রধান কারণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প শ য় রব জ র প র শ য় রব জ র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ