টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের মজুরি না দেওয়ায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
Published: 7th, April 2025 GMT
ঈদের আগে টিএনজেড গ্রুপের তিন কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে শহীদ ফিলিস্তিনিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে তারা।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নিচতলার টিচার্স লাউঞ্জে ড.
বিবৃতিতে বলা হয়, তিন মাসের বকেয়া মজুরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গত ২৩ মার্চ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল টিএনজেড গ্রুপের তিন কারখানার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। ২৭ মার্চ বিকেলে শুধু অ্যাপারেলস প্লাস ইকো লিমিটেডের শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের ৭০ ভাগ দেওয়া হয়। টিএনজেড অ্যাপারেলস এবং অ্যাপারেলস আর্ট লিমিটেডের শ্রমিকেরা কোনো টাকা পাননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ২৮ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে আরও ১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বকেয়ার হিসাব প্রকাশ করেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সাধারণ সদস্যদের প্রত্যাশা, আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) শ্রমসচিব তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
সভায় সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। আর অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাসের পর্যালোচনা নিয়ে ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে।
আরও পড়ুনটিএনজেড গ্রুপ: সচিবের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত শ্রমিকদের২৯ মার্চ ২০২৫সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গবেষক মাহা মির্জা, গবেষক মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, চলচ্চিত্র নির্মাতা আকরাম খান, মানবাধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী, রাজনৈতিক কর্মী আবদুল্লাহ আল কাফী, ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, বাকী বিল্লাহ, ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, সদরুল হাসান রিপন, চিকিৎসক ড. নাজমুস সাকিব, চলচ্চিত্রকর্মী আকরাম খান, সজীব তানভীর, রাফসান আহমেদ এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রতিনিধিসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঅর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক গ্রেপ্তার১৪ নভেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট এনজ ড গ র প র কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ