আমরা সাধারণত সকালে গোসল করতে অভ্যস্ত। ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে গোসল করে নিজেকে পরিপাটি করে তারপর বের হই। এতে শরীর সতেজ থাকে। নিয়মিত গোসল করলে মনও ভালো থাকে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মানুষ সকালে গোসল করেন। কিন্তু কোরিয়া, চিন এবং জাপানে রাতে গোসল করাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারা সারাদিনের কাজ কর্ম শেষ করে গোসল করেন।
চিনের মানুষ বিশ্বাস করেন রাতে গোসল করলে শরীরে জমা নেতিবাচক এনার্জি দূর হয়ে যায়, মানসিক চাপ কমে, শরীর সতেজ থাকে এবং রাতের ঘুম ভালো হয়। চিনে ক্রান্তীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ুর প্রভাবে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। ফলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর প্রবণতা বেশি থাকে। এ জন্য তারা রাতে গোসল করাকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অন্যতম উপায় মনে করেন। চিনের অনেক নাগরিক বিশ্বাস করেন, রাতে গোসল করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
জাপানিজরা বিশ্বাস করেন, সারা দিনের কাজের ধকলের পর রাতে গোসল করলে শরীর সতেজ হয়। তারা মনে করেন, ঘুমোনোর আগে গোসল করলে শরীর ও মন শুদ্ধ হয়। ঘুম ভালো হয়। রাতে গোসল করা জাপানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। বেশিরভাগ জাপানিজ চাকরিজীবী সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে অভ্যস্ত তারা। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করলে শরীরের কাছে এই সংকেত পৌঁছায় যে কাজ শেষ। এতে মানসিক চাপ তো কমে, বিশ্রাম ভালো হয়। আবার ভালো ঘুমও হয়।
আরো পড়ুন:
দাম্পত্য সম্পর্ক নতুনভাবে রাঙিয়ে নেওয়ার চার উপায়
ছুটিতে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেসব ব্যায়াম করতে পারেন
রাতে গোসল করার উপকারিতা
শরীর ও মন শিথিল হয়।
কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশী আরাম পায়। মনের দুশ্চিন্তা দূর হয়।
সারা দিন ধরে শরীরে জমা নোংরা-ময়লা ও ঘাম দূর হয়।
ঘুম ভালো হয়।
সকালে গোসল করার উপকারিতা
সকালে গোসল করলে এনার্জি বাড়ে। দিনের শুরুটা হয় সুন্দর।
ঘাম দূর হয় এবং শরীর সতেজ থাকে।
মনোযোগ এবং তৎপরতা বাড়ে।
রাতে এবং সকালে গোসল করার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তবে যারা কাজের জন্য নিয়মিত বাইরে যান, তাদের জন্য রাতে গোসল করা ভালো। এতে শরীরে জমা ময়লা বিছানায় মিশতে পারে না। এবং ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। কিন্তু ঠান্ডাজনিত রোগ থাকলে রাতে গোসল করার ক্ষতিকর হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সূত্র: নিউজ ১৮ অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত