ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ জানালেন শিল্পীরা। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর একটি আধুনিক প্রেক্ষাগৃহে ছিল ‘দাগি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনে উপস্থিত অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক ও সাংবাদিকেরা এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে মৌন প্রতিবাদে অংশ নেন।
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে ডাকা হয় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক’। এতে সমর্থন জানান এ দেশের সাধারণ মানুষ। পূর্বপরিকল্পিত হওয়ায় একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘দাগি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। তবে শিল্পী ও সাংবাদিকেরা সেই প্রতিবাদকে সমর্থন করতে ভোলেননি। আয়োজনেই গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে অংশ নিয়েছেন বিশেষ প্রদর্শনীতে।

আরও পড়ুনসাড়া ফেলেছে নিশো–তমার ‘দাগি’, বেড়েছে শো০৩ এপ্রিল ২০২৫

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র সোনি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল, সিনেমার সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি, নির্মাতা শিহাব শাহীন, সাংবাদিক-সাহিত্যিক সাজ্জাদ শরিফ ও আনিসুল হক। অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতুল্লাহ, আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুমন আনোয়ার, সুষমা সরকার, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু, সোহেল মণ্ডল, সাদিয়া আয়মান, নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন, রায়হান রাফী, জাহিদ প্রীতমসহ অনেকে। সংগীতশিল্পী সাজিদ সরকার, মাশা ইসলামও শামিল ছিলেন প্রতিবাদে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন‘দাগি’র ট্রেলার দেখে কী বললেন ভারতীয় সমালোচকেরা২৮ মার্চ ২০২৫

নীরবতা পালন শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে কথা বলেন ‘দাগি’ সিনেমা–সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা এবং এরপরই শুরু হয় বিশেষ প্রদর্শনী। সিনেমা দেখে রায়হান রাফী জানান, ‘দাগি’ পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা। শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘“দাগি” হৃদয়ে দাগ কেটে গেছে। সিনেমার ঢং অনুযায়ী এখানে আফরান নিশো সবচেয়ে মানানসই। এই চরিত্রে অন্য কেউ হলে হতো না।’

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র সোনি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল, অভিনেতা আফরান নিশো, নির্মাতা শিহাব শাহীন, অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম, সিনেমার সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’