মৌসুম শেষে কেভিন ডি ব্রুইনি ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়বেন। জুনেই তার সিটিজেনদের সঙ্গে চুক্তি শেষ। ইনজুরি প্রবণতার কারণে বেলজিয়াম মিডফিল্ডারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছে না ম্যানসিটি বোর্ড। 

পেপ গার্দিওলার চিন্তা এখন ডি ব্রুইনির জায়গায় নতুন কাউকে খুঁজে বের করা। যে ব্রুইনিকে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়ে একের পর এক শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা তার উত্তরসূরী তৈরি করার চ্যালেঞ্জ এখন সাবেক বার্সা ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচের। 

এরই মধ্যে তরুণ বেশ কিছু অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ওই জায়গা পূরণে আলোচনায় এসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ম্যানসিটিও তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে।

ওই তালিকায় সবার ওপরে আছেন বায়ার লেভারকুসেনে খেলা ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। ম্যানসিটি তাকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ানোর লড়াইয়ে আছে বলে খবর। তবে দৌঁড়ে ম্যানসিটি এগিয়ে আছে বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। উইর্টজকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা প্লে মেকার মনে করা হয়। 

এবারেসি এজের ওপরও চোখ রেখেছে ম্যানসিটি। ২৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টাল প্যালেসে খেলছেন। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ছাড়াও তিনি লেফট উইঙ্গে খেলেন। তবে দুই ইংলিশ ফুটবলার গ্রিলিস ও ফোডেন হতাশ করেছে ম্যানসিটিকে। যা এজে থেকে সিটিকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে। 

প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ খেলছেন ২২ বছর বয়সী অ্যাস্টন ভিলার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মর্গান রজার্স। চলতি মৌসুমে ১৩ গোল ও ৯ গোলে সহায়তা দেওয়া রজার্সের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচা করতে প্রস্তুত প্রিমিয়ার লিগের বড় বড় ক্লাব। ম্যানসিটি ছুটতে পারে তার পেছনে। 

সেরা প্রতিভার বিচার করলে ফ্রান্সের ধারে কাছে নেই কোন দেশ। তরুণ ফুটবলাররা বড় বড় ক্লাবে আলো কাড়ছেন। অর্থ ঢাললে হতাশও করছেন না। ২১ বছর বয়সী রায়ান সের্কি তেমনই একজন। তিনি লিগ ওয়ানের ক্লাব লিওতে খেলছেন। ডি ব্রুইনির মতোই তার বুটে জাদু লেগে থাকে। 

পেপ গার্দিওলার জহুরির চোখ ভলসবার্গের কেভিন ডি ব্রুইনিকে খুঁজে বের করেছিল। সিটিজেন শিবিরে এনে তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার বানিয়েছেন। ডি ব্রুইনির উত্তরসূরীও বেলজিয়াম থেকে পেয়ে যেতে পারেন গার্দিওলা। আটালান্টায় আছেন বেলজিয়ামের ২৪ বছর বয়সী এক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। যার নাম কার্লস ডি কেটেলারে। সিরি আ লিগে আটালান্টার তিনে থাকার পেছনে ভূমিকা আছে তার। 

চ্যালেঞ্জটা পেপ গার্দিওলা নিতে পারেন জাভি সিমনকে দিয়ে। তার প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন নেই। বার্সার একাডেমির ফুটবলার। পিএসজিতে সংক্ষিপ্ত সময় কাটিয়েছেন। তবে দারুণ ফুটবল দেখিয়েছেন পিএসভিতে। বর্তমানে তিনি আরবি লাইপজিগে আছেন। জাভি সিমনকে কিনতে হলে ঝুঁকিও নিতে হবে ম্যানসিটির। এখনো যে নির্ভরযোগ্য কেউ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল ক ভ ন ড ব র ইন বছর বয়স ব র ইন র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

শাবানার আজ জন্মদিন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।

মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।

‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ