Prothomalo:
2025-06-15@20:24:59 GMT

গায়েবি সাহায্য

Published: 9th, April 2025 GMT

আবু হুরায়রা (রা.) একবার একটি গায়েবি সাহায্যের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ঘটনাটি তিনি শুনেছেন মহানবী (সা.)-এর কাছে।

 এক লোক মরুপ্রান্তরে সফর করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মেঘের ভেতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলেন যে অমুকের বাগানে পানি দাও। সঙ্গে সঙ্গে মেঘখণ্ডটি একদিকে সরে যেতে লাগল। এরপর নির্দিষ্ট জমিতে বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির পানিতে সেখানকার একটা নালা ভর্তি হয়ে গেল। লোকটি এবার জলপ্রবাহের দিকে এগিয়ে গেলেন।

চলতে চলতে দেখলেন, পথের পাশে এক ব্যক্তি কোদাল দিয়ে পানি বাগানে সব দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। জিজ্ঞেস করলেন, ওহে আল্লাহর বান্দা, আপনার নাম কী?

 তিনি বললেন, আমার নাম অমুক।

আরও পড়ুনউম্মে সালামা (রা.

): ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারী০৭ এপ্রিল ২০২৫

এটা ছিল সেই নাম, যা তিনি মেঘের ভেতর শুনতে পেয়েছেন।

বাগানের মালিক এবার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর বান্দা, আপনি কেন আমার নাম জানতে চাইলেন?

 তিনি বললেন, যে মেঘের এই পানি, তার ভেতর থেকে আমি আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। আপনার নাম নিয়ে বলা হয়েছে যে, অমুকের বাগানে পানি দাও। এরপর জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এ বাগানের বিষয়ে এমন কী করেন, বলেন তো?

 বাগানের মালিক বললেন, যেহেতু আপনি জানতে চাইছেন, তাই বলছি, প্রথমে আমি এই বাগানের উৎপন্ন ফসলের হিসাব করি। তারপর ফসলের এক-তৃতীয়াংশ সদকা করি, এক-তৃতীয়াংশ আমি ও আমার পরিবার-পরিজনের জন্য রাখি এবং এক-তৃতীয়াংশ বাগানের উন্নয়নে ব্যয় করি। (মুসলিম, হাদিস: ২,৯৮৪)

আরও পড়ুনআবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) ছিলেন বিজ্ঞ ও সাহসী সাহাবি১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা