শিশুকে পেঁয়াজ কাটতে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
Published: 9th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছয় বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম কাদের শেখ (৬০)। তিনি একই উপজেলার বাসিন্দা। আজ বুধবার সকালে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলায়মান শেখ।
পুলিশ, ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ওই শিশুকে পেঁয়াজ কাটতে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্ত কাদেরের স্ত্রী। বেলা ১১টার দিকে ঘরে পেঁয়াজ রাখতে গেলে ওই শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন কাদের। বিষয়টি জানাজানি হলে গত রোববার সন্ধ্যায় গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান কাদের। আর রাতেই গ্রামবাসী তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সোমবার সকালে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার বাদী জানান, শিশুটিকে পেঁয়াজ কাটতে ডেকে নিয়ে খারাপ কিছু করেছেন কাদের। বিষয়টি প্রথমে পরিবার গোপন রেখেছিল। পরে থানায় মামলা করেছেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে কাদেরের স্ত্রী সাহিদা জানান, ঘরের ভেতরে কী ঘটেছে, তা জানেন না। ভয়ে স্বামী পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে এলাকার লোকজন বাড়িতে ভাঙচুর করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।