শত বছর আগে যে চিঠি ফিলিস্তিনিদের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে এনেছে
Published: 10th, April 2025 GMT
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যকার বিবাদ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সময় ধরে চলা ও সবচেয়ে সহিংস সংঘাতের একটি। এ দ্বন্দ্ব–সংঘাতের সূত্রপাত এক শ বছরের বেশি আগে।
দীর্ঘ এ সময়ে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধ বেধেছে। হয়েছে ‘ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলবিরোধী অভ্যুত্থান, হয়েছে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিশোধ ও দমনমূলক অভিযান।
নিজেদের ভূমি, সীমান্ত ও অধিকার নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক বিবাদের পরিণাম আজও টানতে হচ্ছে তাদের। এরই সাম্প্রতিকতম ফলাফল, ইসরায়েল ও গাজায় হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ।
১৯৪৮ সালের আগে ইসরায়েল কী ছিল এবং কীভাবে এর সৃষ্টিঅটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটেন ‘প্যালেস্টাইন’ (ফিলিস্তিন) নামে পরিচিত ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের এই অংশ দীর্ঘকাল অটোমান শাসকদের অধীনে ছিল।
ফিলিস্তিনে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব ও সংখ্যালঘু ইহুদিদের পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরে সেখানাকার সংখ্যালঘু ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য এ ভূখণ্ডে তারা একটি ‘জাতীয় আবাস’ প্রতিষ্ঠায় নীতিগতভাবে সম্মত হয়। এই সম্মতি বা অঙ্গীকার কালক্রমে ‘বালফোর ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিতি পায়।ইহুদিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ এই আরব জনগোষ্ঠীর উত্তেজনা গভীর হয় তখন, যখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বালফোর ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর জায়নবাদী নেতা ব্যারন রথচাইল্ডকে একটি পত্র পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘জায়নবাদ’ নামক উগ্র ইহুদিবাদ বা ইহুদি জাতীয়তাবাদকে স্বীকৃতি দেন। এটি এক মহাবিপর্যয়ের দুয়ার খুলে দেয়।
এ স্বীকৃতির মাধ্যমে ব্রিটেন নীতিগতভাবে সংখ্যালঘু ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি ‘জাতীয় আবাস’ প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়। এই সম্মতি বা অঙ্গীকার কালক্রমে বালফোর ঘোষণাপত্র নামে পরিচিতি পায়।
১৯৪৭ সালের ২২ মার্চ হাইফা বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ ‘এক্সোডাস’। এই জাহাজে ইউরোপ থেকে আসেন অবৈধ ইহুদি অভিবাসীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।