ঈদে মুক্তি পেয়েছে মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘বরবাদ’। বক্স অফিসে কাঙ্ক্ষিত সাড়াও মিলেছে। এতে দারুণ খুশি বরবাদের প্রযোজক ‘শাহরিন সুমি’। তবে এ কথাও জানিয়েছেন এখন তিনি সিনেমা প্রযোজনা করছেন, আগামীতে নাও করতে পারেন। বাংলা সিনেমাকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে প্রযোজক যাতে প্রোপার প্রফিট তুলতে পারে সেজন্য সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবার সাপোর্ট আশা করেছেন তিনি।

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে শাহরিন সুমি বলেন,‘‘একজন প্রযোজক হিসেবে আমার পার্সেন্টেসটা খুব কম। আজকে আমি প্রোডিওসার আছি, কালকে হয়তো আমি অন্য কোনো লাইনে কাজ করতে পারি। সবকিছু মিলিয়ে যদি আমাদের ভালো সিনেমা করতে হয় এবং প্রোডিসারকে ‘হ্যাপি’ রাখতে হবে। অনেকে একটা দুইটা সিনেমা প্রোডিউস করে চলে যায়, কারণ তারা প্রোপার প্রফিটটা পাচ্ছে না। ‘প্রোফিট’তো দূরের কথা, তাদের ‘ইনভেস্টমেন্ট’টাও হয়তো ঠিকমতো উঠাতে পারছেন না। এই দেশে বড় বাজেটের সিনেমা আমি একটু সাহস করেই করেছি একটা ভালো সিনেমা বানানোর জন্য। নট দ্যাট সবাই করবে। কারণ তারাতো দিন শেষে ভাববে ‘আমি টাকাটা উঠাতে পারবো কিনা’। এই হিসাবটা যদি আমরা মেলাতে না পারি তাহলে বাংলা সিনেমাতো পারবে না, ওই উচ্চতায় যাবে না। ’’

এই প্রযোজক আরও বলেন, ‘‘আমাদেরকে অবশ্যই বড় বাজেটের সিনেমা বানাতে হলে সবাইকে মিলে ‘মেক শিওর’ করতে হবে, যে প্রোডাকশন কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করছে, যার লক্ষ্য বাংলা সিনেমাকে সামনে নিয়ে যাওয়া তাকে সাপোর্ট করতে হবে। ’’

আরো পড়ুন:

‘বরবাদ’ এবং ‘জংলি’ নিয়ে যা বললেন তমা মির্জা

শাকিবের জন্য বাংলাদেশের মানুষ আমাকে চেনে: ইধিকা

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ