ফের মা হতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী গওহর খান। জায়েদ দরবার-গওহর খান দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে এ খবর জানিয়েছেন গওহর খান।

ভিডিওতে দেখা যায়, গওহর-জায়েদ দম্পতি জেসি জের ট্রেন্ডিং গান ‘প্রাইস’-এর সঙ্গে নাচছেন। নাচতে নাচতে নতুন অতিথি আগমনের ঘোষণা দেন তারা। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, “বিসমিল্লাহ! আপনাদের প্রার্থনা এবং ভালোবাসা প্রয়োজন। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন, বিশ্বকে নাচতে বাধ্য করুন।”

করোনা সংকটের সময়ে জায়েদ দরবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান গওহর খান। মুখে মাস্ক পরে শপে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন গওহর খান, আর সেখানে তাকে দেখে প্রেমে পড়েন জায়েদ। বয়সে জায়েদের চেয়ে ৯ বছরের বড় গওহর। কিন্তু বয়সের এই ব্যবধান বাধা হয়নি এ জুটির প্রেম কাহিনিতে।

আরো পড়ুন:

মেয়ের বলিউড অভিষেক নিয়ে মুখ খুললেন কাজল

কৃষ ফোর: হৃতিকের সঙ্গী প্রীতি, প্রিয়াঙ্কা, নোরা?

করোনার কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল ভারতে। এ বিধিনিষেধ শিথিল হতেই ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা। ২০২৩ সালের ১১ মে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন গওহর।

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই দশক পার করছেন গওহর খান। টেলিভিশন থেকে শুরু করে বড় পর্দা, ওটিটি— সব মাধ্যমেই তার অবাধ বিচরণ।

এক সময় এ অভিনেত্রীর লাভ লাইফ নিয়েও কম চর্চা হয়নি। পরিচালক সাজিদ খানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন গওহর, পরবর্তীতে অভিনেতা কুশল ট্যান্ডনের সঙ্গে গওহরের প্রেমের গল্প কারো অজানা নয়। তবে সেই প্রেম পরিণয় পায়নি। সর্বশেষ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জায়েদ দরবারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন গওহর খান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা

শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে কখনও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ২০০৮ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় উঠেছিল, তবু ধীরলয়ে পথ হেঁটে গেছেন। নিজের কাজে অতিমাত্রার উচ্ছ্বাসও দেখাননি কখনও। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সবসময়। গানে গানে কুড়িয়ে চলেছেন শ্রোতার ভালোবাসা। এ কারণে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। বলছি, কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজার কথা। গানের ভুবনে অন্তহীন পথচলায় যিনি এরই মধ্যে পেরিয়ে এসেছেন প্রায় দেড় যুগের পথ। সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার রহস্যটা কী? শুরুতে যখন এ প্রশ্ন লিজার সামনে তুলে আনা হলো, তখন দেখা গেল, লিজা নিজেই এর উত্তর খুঁজতে বসে গেছেন। এ পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘না, এর উত্তর সত্যি জানা নেই। আসলে আমি তো গান গাই শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ আর ভালোবাসা কুড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতে গানের চর্চা ধরে রেখেছি বললে ভুল হবে না। তারপরও প্রতিটি আয়োজনে শ্রোতার ভালোলাগা, মন্দলাগাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এতে করে কতটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেই জনপ্রিয়তা শুরু থেকে একই রকম আছে কিনা– সেটি তো শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন।’ লিজার এ কথা থেকে বোঝা যায়, যাদের কারণে শিল্পীজীবন বেছে নেওয়া, সেই শ্রোতা তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেখানে তাঁর গানগুলো ছিল চালিকাশক্তি। তবে ১৭ বছরের সংগীতের এ পথচলায় লিজার কণ্ঠে মেলোডি গান বেশি শুনতে পাওয়া গেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দেড় যুগে নানা ধরনের গান গেয়েছি, তবু কেন জানি শ্রোতারা আমাকে মেলোডি গানের শিল্পীদের দলে রেখে দিয়েছেন। অস্বীকার করব না যে, আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান ভক্তরা বেশি শুনতে চান, সে ধরনের গান বেশি গাই। এটিও ঠিক যে, মেলো কিংবা স্যাড-রোমান্টিক গানের প্রতি শ্রোতার ভালোলাগা সবসময় ছিল। এখনও অনেকে মেলোডি ছাড়া গানের কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য নিরীক্ষাধর্মী কাজ করলেও আমি চাই না মেলোডি থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে। তাই মেলোডি গান যেমন গাইছি, তেমনি গানের নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছি।’ লিজার এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সর্বশেষ প্রকাশিত গানগুলোর শুনলে প্রমাণ মেলে। ক’দিন আগে বিটিভির ‘বৈঠকখানা’ অনুষ্ঠানে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মুহিনের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার নামে’ গানে যে লিজাকে শ্রোতা আবিষ্কার করবেন, তার সঙ্গে মেলানো কঠিন হবে সামজ ও রিজানের সঙ্গে ‘তিতা কথা’ গানের লিজাকে। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ‘খুব প্রিয় আমার’, ‘তুমি এলে’, ‘পূর্ণিমা চাঁদ’ গানগুলোয় লিজা অতীতের গায়কীকে ছাপিয়ে কীভাবে আরও নতুন হয়ে নিজ কণ্ঠ তুলে এনেছেন। 

মাঝে কিংবদন্তি শিল্পীদের বেশ কিছু কালজয়ী গানের রিমেকে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতবোদ্ধাদের। স্টেজ শো, রেডিও, টিভির আয়োজন থেমে শুরু করে সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি অন্যদের চেয়ে কোনোভাবে পিছিয়ে নন। এককথায়, বহমান সময়টিকে সুরেলা করে রেখেছেন অনিন্দ্য কণ্ঠ জাদুতে। 

আগামীতেও লিজার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে বেড়াবে– এ অনুমান করা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ