বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খান। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। সিনেমাটিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন সালমান। ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে রুপালি পর্দায় হাজির হন।

দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে ১২৬টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সালমান খান। এর মধ্যে হিট-ব্লকবাস্টার সিনেমা যেমন উপহার দিয়েছেন, তেমনি ফ্লপ, ডিজাস্টার সিনেমাও রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারছেন না সালমান। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘সিকান্দার’। এটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। চলুন দেখে নিই সালমানের হিট-ব্লকবাস্টার, ফ্লপ-ডিজাস্টার সিনেমার তালিকা—

ডিজাস্টার সিনেমার তালিকা
১.

সানদিল সানাম (১৯৯৫)
২. মাঝধার (১৯৯৬)
৩. ফির মিলেঙ্গে (২০০৪)
৪. সালাম-ই-ইশক (২০০৭)
৫. যুবরাজ (২০০৮)

আরো পড়ুন:

বক্স অফিসের দৌড়ে কী ক্লান্ত সালমান-রাশমিকা?

৬ দিনে সালমান-রাশ্মিকার সিনেমার আয় কত?

ফ্লপ সিনেমার তালিকা
১. বিবি হো তো অ্যায়সি (১৯৮৮), ২. কুরবান (১৯৯১), ৩. লাভ (১৯৯১), ৪. সূর্যবংশী (১৯৯২), ৫. জাগৃতি (১৯৯২), ৬. নিশ্চয়ই (১৯৯২), ৭. এক লাড়কা এক লাড়কি (১৯৯২), ৮. চন্দ্রমুখী (১৯৯৩), ৯. দিল তেরা আশিকি (১৯৯৩), ১০. আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪), ১১. বীরগতি (১৯৯৫), ১২. খামোশি (১৯৯৬), ১৩. অজা (১৯৯৭), ১৪. জনম সমঝা করো (১৯৯৯), ১৫ হ্যালো ব্রাদার (১৯৯৯)।

১৬. চল মেরে ভাই (২০০০), ১৭. কহি প্যায়ার না হো যায়ে (২০০০), ১৮. তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে (২০০২), ১৯. ইয়ে হে জালওয়া (২০০২), ২০. দিল নে জিসে আপনা কাহা (২০০৪), ২১. কিউ কি (২০০৫), ২২. বাবুল (২০০৬), ২৩. জান-ই-মন (২০০৬), ২৪. গড তুসি গ্রেট হো (২০০৭), ২৫. লন্ডন ড্রিমস (২০০৯), ২৬. দাবাং থ্রি (২০১৯), ২৭. অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ (২০২১), ২৮. কিসি কা ভাই কিসি কি জান (২০২৩)।

অল টাইম ব্লকবাস্টার
১. ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া (১৯৮৯),
২. হাম আপকে হ্যায় কৌন (১৯৯৪),
৩. বজরঙ্গি ভাইজান (২০১৫)

ব্লকবাস্টার সিনেমার তালিকা
১. সনাম বেওয়াফা (১৯৯১), ২. করন অর্জুন (১৯৯৫), ৩. হাম সাথ-সাথ হ্যায় (১৯৯৯), ৪. দাবাং (২০১১), ৫. রেডি (২০১১), ৬. বডিগার্ড (২০১১), ৭. এক থা টাইগার (২০১২), ৮. দাবাং টু (২০১২), ৯. কিক (২০১৪), ১০. সুলতান (২০১৬), ১১. টাইগার জিন্দা হ্যায় (২০১৭)।

হিট সিনেমার তালিকা
১. বাঘি (১৯৯০), ২.  পাথর কে ফুল (১৯৯১), ৩. সাজন (১৯৯১),  ৪. যোদ্ধা (১৯৯৭), ৫. প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া (১৯৯৮), ৬. যব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায় (১৯৯৮), ৭. বন্ধন (১৯৯৮), ৮. বিবি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯), ৯. হাম দিল দে চুকে সানাম (১৯৯৯), ১০. দুলহান হাম লে জায়েঙ্গে (২০০০), ১১. হার দিল জো প্যায়ার কারেগা (২০০০)। ১২. চোরি চরি চুপকে চুপকে (২০০১), ১৩. হাম তুমহারে হ্যায় সনম (২০০২), ১৪. তেরে নাম (২০০৩), ১৫. ভগবান (২০০৩), ১৬. মুঝসে শাদি করোগী (২০০৪), ১৭. ম্যায়নে প্যায়ার কিউ কিয়া (২০০৫), ১৮. নো এন্ট্রি (২০০৫), ১৯. ওয়ান্টেড (২০০৯), ২০. জয় হো (২০১৪), ২১. প্রেম রতন ধন পায়ো (২০১৫), ২২. ভারত (২০১৯), ২৩. টাইগার থ্রি (২০২৩)।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব লকব স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক

অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বর্তমানে প্রায় চার লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই।

টিম কুকের জন্ম ১৯৬০ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মোবাইল শহরে। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর তিনি প্রযুক্তিশিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি আইবিএমের পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসায় ১২ বছর কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিকস ও কম্প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮ সালে স্টিভ জবসের আমন্ত্রণে অ্যাপলে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনস পদে যোগ দেন টিম কুক। দ্রুতই অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও  উৎপাদনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অ্যাপলের কারখানা বন্ধ করে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু করেন তিনি। ফলে অ্যাপলের উৎপাদন খরচও কমে আসে। ২০০৫ সালে তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে পদোন্নতি পান। স্টিভ জবসের অসুস্থতার সময় তিনি একাধিকবার অ্যাপলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টিম কুক।

জবসের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই স্টিভ জবসের উদ্ভাবনী জাদুকরের ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে টিম কুক অ্যাপলকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

অ্যাপল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও আলোচিত টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল ওয়াচ ও এয়ারপডসের মতো সফল পণ্য বাজারে আসে এবং ইন্টেলের পরিবর্তে নিজস্ব চিপ এম১ প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল, যা অ্যাপলের অন্যতম সাহসী ও সফল কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্টিভ জবসের গড়ে তোলা আইফোন আর ম্যাকের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন টিম কুক।

সূত্র: অ্যাপল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক