বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮০ শিক্ষার্থী।

দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল থেকে ৫৩ জন ও রাস আল খাইমাহ বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল থেকে ২৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা  দিচ্ছে।

আরো পড়ুন:

বাড়িতে বাবার লাশ রেখে দাখিল পরীক্ষা দিল ছেলে

এসএসসি পরীক্ষা: কুমিল্লায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী বেশি ২৯ হাজার

আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল থেকে অংশ নিয়েছে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে ৫২ জন বিজ্ঞান বিভাগের এবং একজন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে ২৪ জন ছাত্র ও ২৯ জন ছাত্রী অংশ নিচ্ছে এ বছরের পরীক্ষায়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত ৪৬ জন এবং অনিয়মিত ৭ জন।
 
শেখ খলিফা স্কুল ছাড়াও রাস আল খাইমাহ প্রদেশে বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরো একটি কেন্দ্রে একই সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যেখানে আমিরাত প্রবাসী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা দিচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১২ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জন ছাত্র ও ১১ জন ছাত্রী রয়েছে।

প্রথম দিনের পরীক্ষা সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তা ও পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশিষ কুমার সরকার বলেন, “অত্যন্ত মনোরম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে পরীক্ষা দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষার্থীরা। প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম তাদের নিজ দেশের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে বেড়ে উঠছে, যা আমাদের জন্য আশা জাগানিয়া।”

দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং ভালো ফলাফলের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি গর্বিত। তারা প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করেছে।

অভিভাবকরা বলছেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড পরীক্ষার এই সুযোগ তাদের মাতৃভূমির সঙ্গে  শিক্ষাগত সংযোগ বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ঢাকা/মুহাম্মদ শাহ জাহান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস পর ক ষ র থ জন ছ ত র ন পর ক ষ আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তির দরকারি তারিখ—

১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।

২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।

৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।

ভর্তির যোগ্যতা—

১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd

ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —

১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।

২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।

৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—

১. দুই কপি ছবি।

২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

ভর্তি ও অন্যান্য ফি—

অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,

রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,

কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,

একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,

ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,

পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,

প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,

মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।

বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।

২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।

# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন