নাটোর আদালতের মালখানা থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ ও তিন ভরি রুপার অলঙ্কার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে হেফাজতে নিলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় মালখানার তালা ভেঙে চুরির ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। 

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৩ জনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, আটক ১

ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

নাটোর সদর থানার ওসি মো.

মাহাবুর রহমান বলেন, “কোর্ট পুলিশ আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মালখানার তালা ভাঙা দেখতে পেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইনসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।”

তিনি আরো বলেন, “চলতি বছরের ১৪ মার্চ ভোরে নাটোরের সিংড়ায় গাইবান্ধা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি তল্লাশি করে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই টাকাসহ মালখানায় থাকা ১০ ভরি স্বর্ণ ও তিন ভরি রুপার অলঙ্কার ছাড়া অন্যকিছু চুরি হয়নি।” 

এ ঘটনায় চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চোরদের শনাক্ত করতে সিআইডি ও পিবিআইয়ের ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে বলেও জানান ওসি মো. মাহাবুর রহমান।

নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, “চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতু থেকে ফেলে দেন মা: পুলিশ

মাদারীপুরের শিবচরে ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতু থেকে এক মা নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নে আড়িয়াল খাঁ নদীর হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি করেন এবং কিছুটা ভারসাম্যহীন। ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, নিজের ছেলেকে সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেন ওই নারী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

শিবচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সকাল থেকে নদীতে অভিযান চালানো শুরু করেছেন। সঙ্গে ডুবুরি দলও আছে। ছেলেটির সন্ধানে আশপাশের এলাকায়ও খোঁজ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন সহায়তা করছেন। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর নাম রিজিয়া বেগম। তিনি উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট এলাকার মৃত আজগর আলীর স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে তাঁর সংসার চলে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলে নাসিরউদ্দিন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। সে চোখে দেখে না, চলাফেরাও করতে পারে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, আসরের নামাজের পর থেকে ওই নারীকে সেতুর ওপর বসে থাকতে দেখেন। সঙ্গে ৮-৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও একটি ছেলে ছিল। ছেলেটি কাঁদছিল। নারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, ‘খিদার জন্য কাঁদছে।’

নূর আলম নামে সন্ন্যাসীর চর চৌরাস্তা এলাকার এক আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, তিনি আইসক্রিম বিক্রি করে বাড়িতে ফিরছিলেন। দূর থেকে দেখেন, এক নারী ছেলেটিকে ফেলে দিলেন। আরও অনেকে দেখেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এক অটোরিকশাচালক দৌড়ে যেতে যেতে ওই নারী কাজটি করেন।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নারীকে ঘিরে ধরে ছেলেটিকে ফেলে দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ সময়ের দুটি ভিডিও প্রথম আলোর হাতে এসেছে। ভিডিওতে ভরণপোষণ করতে না পেরে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে জানান ওই নারী। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে হেফাজতে নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ