ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে অসৎ কৌশল অবলম্বনের অভিযোগে মামলা করেছে ওপেনএআই। এতে দাবি করা হয়, মাস্ক নিজের স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির (এআই) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ওপেনএআইয়ের ব্যবসাকে প্রভাবিত করছেন। খবর বিবিসির

গত বছর মাস্ক ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে কোম্পানির করপোরেট কাঠামো পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য মামলা করেছিলেন। মাস্ক অল্টম্যানের সঙ্গে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু ২০১৮ সালে মাস্ক প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে চলে যান।

এ মামলা সিলিকন ভ্যালির দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যকার একটি দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

বুধবার এক বিবৃতিতে ওপেনএআই বলে, ইলন মাস্ক ওপেনএআইকে তার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দুর্নীতিমূলক কৌশল অবলম্বন করছে। তাকে থামাতে আমরা পাল্টা মামলা করেছি।

গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে একজন ফেডারেল বিচারক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০২৬ এর মার্চে এ মামলার বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক ইয়ভন গঞ্জালেজ রজার্স এর আগে মাস্কের একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। যেখানে তিনি অস্থায়ীভাবে ওপেনএআই-এর অলাভজনক থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর বন্ধ করতে আবেদন করেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে