ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
Published: 11th, April 2025 GMT
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে অসৎ কৌশল অবলম্বনের অভিযোগে মামলা করেছে ওপেনএআই। এতে দাবি করা হয়, মাস্ক নিজের স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির (এআই) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ওপেনএআইয়ের ব্যবসাকে প্রভাবিত করছেন। খবর বিবিসির
গত বছর মাস্ক ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে কোম্পানির করপোরেট কাঠামো পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য মামলা করেছিলেন। মাস্ক অল্টম্যানের সঙ্গে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু ২০১৮ সালে মাস্ক প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে চলে যান।
এ মামলা সিলিকন ভ্যালির দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যকার একটি দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
বুধবার এক বিবৃতিতে ওপেনএআই বলে, ইলন মাস্ক ওপেনএআইকে তার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দুর্নীতিমূলক কৌশল অবলম্বন করছে। তাকে থামাতে আমরা পাল্টা মামলা করেছি।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে একজন ফেডারেল বিচারক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০২৬ এর মার্চে এ মামলার বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক ইয়ভন গঞ্জালেজ রজার্স এর আগে মাস্কের একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। যেখানে তিনি অস্থায়ীভাবে ওপেনএআই-এর অলাভজনক থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর বন্ধ করতে আবেদন করেছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত। যেখানে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আর দুই দেশের জনগণই হবে অংশীদারত্বের অংশীজন।
গত সোমবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৫ সালে এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সংস্কার এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার—‘প্রতিবেশী প্রথমে’, ‘পূর্বমুখী নীতি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপকল্পের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার করা উচিত। যাতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে এমন সব সুযোগে পরিণত করবে, যা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। বিমসটেকের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলোর বাস্তবায়নে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।