‘গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
Published: 11th, April 2025 GMT
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এই দলের আত্মপ্রকাশ হয়। দলটির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ফরাজী আগে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আব্দুল মালেক ফরাজীর ৪৩ জন অনুসারী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে নারী ছিলেন দুজন। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ মিয়াজী প্রথম আলোকে বলেন, দলটির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ফরাজীর বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে। তিনি ৪৩ বছর ধরে ফ্রান্সে ছিলেন। একসময় তিনি শিক্ষকতা করতেন। এখনো তাঁদের দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আব্দুল মালেক ফরাজীকে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর গণ অধিকার পরিষদের (ড.
নিজ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, কারও দালালি করার জন্য তিনি দল গঠন করেননি। দেশ রক্ষার জন্য যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁদের সঙ্গে তিনি থাকবেন।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নতুন দলের পক্ষে একটি ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন খান। এতে বলা হয়, দেশে নানা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হওয়া বহুস্তরবিশিষ্ট বৈষম্য লাঘব করে বাংলাদেশকে মানবিক উন্নয়নের প্রগতিশীল ধারা স্থাপনে দলটি কাজ করবে।
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলের কর্মী–সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।