মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি
Published: 12th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টার দিকে। মোনাজাত করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মুফতি আব্দুল মালেক মোনাজাতে বলেন, “হে আল্লাহ এ প্রতিবাদ মিছিল আপনি কবুল করুন। আমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন। আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমরা লজ্জিত। হে আল্লাহ আমাদের ব্যক্তিগত অপরাধ থেকে তওবা করছি। সারা বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানকে বুঝার তাওফিক দান করুন।”
আরো পড়ুন:
আমাদের হৃদয়ে বাস করছে একেকটা গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজহারী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ
এদিকে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
ঘোষণাপত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এর আগে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী মানুষ ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ম র চ ফর গ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক