কিংসকে প্রায় ছিটকে দিয়ে মোহামেডানের শিরোপা স্বপ্ন উজ্জ্বল করলেন দিয়াবাতে
Published: 12th, April 2025 GMT
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার এক পাশের গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারিতে কিংসের বিশাল এক পতাকা। পাশেই ফিলিস্তিনের পতাকা। ফিলিস্তিনের ছোট ছোট কয়েকটি পতাকাও চোখ কাড়ছিল। আরেক পাশের গ্যালারির মাঝখানে মোহামেডান আলট্রাস নামে বড় একটি ব্যানার। আশপাশে কিছু সমর্থকও সাদাকালোর। থেমে থেমে বাজছিল ঢোল বাদ্য।
গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল না বড় ম্যাচ। কিন্তু মাঠে দুই দলের লড়াইয়ের ঝাঁজটা ঠিকই থাকল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একাদশ রাউন্ডে পয়েন্ট তালিকার এক আর তিনের লড়াইটা জমেছিল ভালোই। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্য উত্তেজনা ছাপিয়ে তা ছড়ায় দুই গ্যালারিতে।
সমর্থকেরা তেড়ে যান একে অন্যের দিকে। মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া থাকায় অপ্রীতিকর কিছু হয়নি। তবে পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়েছে মাঠে। ম্যাচও বন্ধ ছিল মিনিট সাতেক।
আরও পড়ুনদ্বিতীয় লেগের শুরুতেও ঝলমলে মোহামেডান২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহামেডান। ১০ জনের কিংসকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পেশাদার লিগ জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে সাদাকালোরা।
১৮ ম্যাচের লিগে ১১ রাউন্ড শেষে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে মোহামেডান। দুইয়ে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ২৬। আবাহনী আজই ওয়ান্ডারার্সকে ৪-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল করেছেন জোড়া গাল। অন্য দুটি গোল সুমন রেজা ও মোহাম্মদ হৃদয়ের।
শিরোপা জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল করল মোহামেডান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন