কেন মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন ফোনে কথা বলবেন, গবেষণা জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য
Published: 14th, April 2025 GMT
মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠতে উঠতেই শিশু তাঁর মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়। জন্মের সময়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সে মায়ের কণ্ঠস্বরটিকে চিনতেও পারে। পৃথিবীর বুকে তার সবচেয়ে আপন তো এই মানুষটাই। তবে এই মানুষটার কণ্ঠস্বর সত্যিই চাপ সামলাতে সহায়ক কি না, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য।
যা হয়েছিল সেই গবেষণায়৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৬১ জন মেয়েকে নিয়ে গবেষণাটি করা হয়। এই মেয়েদের সবাইকেই বেশ চাপের পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছিল। কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে কোনো বিষয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয়েছিল তাদের। আরও ছিল কঠিন অঙ্কের হিসাব কষার কাজ। এসব কাজ তাদের করতে হয়েছিল অচেনা মানুষদের সামনে। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়ার পর মেয়েদেরকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। একটি দলের মেয়েদেরকে তাদের মায়েদের স্পর্শ পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অন্য একটি দলের মেয়েরা তাদের মায়েদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল। বাকি দলটির মেয়েরা সাদামাটা একটি চলচ্চিত্র দেখে মনের চাপ কমানোর সুযোগ পেয়েছিল। তারপর তিনটি দলের মেয়েদের লালা এবং প্রস্রাবের হরমোন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল, কাদের মানসিক চাপ সত্যিই কমেছিল।
আরও পড়ুনমায়ের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকায় ছেলের উদ্যোগ২৭ অক্টোবর ২০২৪গবেষণার ফলাফলযারা মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিল এবং যারা মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল, তাদের হরমোনের পরিবর্তন ছিল ইতিবাচক। আবেগ ও ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন অক্সিটোসিন বেড়েছিল এই দুই দলের মেয়েদেরই। চাপের হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে গিয়েছিল। মা যখন সন্তানকে জড়িয়ে ধরেন কিংবা কাঁধে হাত রেখে ভরসা দেন, তখন হরমোনের এ ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ এ গবেষণার ফলাফল বলছে, মায়ের কণ্ঠস্বর মাকে জড়িয়ে ধরার মতোই প্রশান্তি দিতে পারে সন্তানকে। যে দলটিকে চলচ্চিত্র দেখতে দেওয়া হয়েছিল, তাদের হরমোনের এমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি।
শেষ কথাপড়ালেখা বা কাজের সূত্রে মায়ের থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। বিয়ের পর অনেককে মায়ের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে হয়। কারণ যেটিই হোক, মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকার অর্থই হলো আপনি মায়ের শরীরের চেনা গন্ধটা পাচ্ছেন না, চাইলেই মাকে জড়িয়ে ধরতে পারছেন না। তবে সব সময়ের জন্য মায়ের কাছে থাকার কিংবা মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসার সুযোগ না পেলেও আপনি মায়ের কাছে থাকার প্রশান্তির খানিকটা পেতেই পারেন। যোগাযোগপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে অডিও বা ভিডিও কল করা তো কোনো ব্যাপারই নয়। তাই যত দূরেই থাকুন না কেন, মাকে ফোন করুন নিয়মিত। তাতে আপনি ভালো থাকবেন, ভালো থাকবেন আপনার মা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আরও পড়ুনসাভারে মায়ের নামে বানানো মসজিদ পেল টাইম–এর স্বীকৃতি ২২ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দল র ম য় র হরম ন হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক