তিন নারীর চুল কেটে দিল দোকানি, রড দিয়ে পিটুনির ভিডিও ভাইরাল
Published: 14th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সড়ক বাজারে তিন নারীর মাথার চুল কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় দোকানি সুমন দাস চুরির অভিযোগ তুলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোববার রাড়ে ৮টার দিকে এনসিসি ব্যাংকের নিচে চাঁদপুর এলুমিনিয়াম স্টোরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, চুরির অপবাদ দিয়ে সুমন দাস ও তার সহযোগী মো. রাব্বি নারীদের মাথার চুল কেটে নেন। শুধু তাই নয়, সঙ্গে থাকা একটি শিশুসহ তিন নারীকে প্লাস্টিকের পাইপ ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা মারধর ও চুল কাটতে সুমন দাসকে বাধা দেন। তখন দোকানি সুমন উল্টো তাদের হুমকি দেন। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরে ভাইরাল পড়ে।
জানা গেছে, মেসার্স এস.
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, এক নারীর চুল কাটছেন সুমন দাস। এ সময় অন্য দুই নারীকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখনও মূল অভিযুক্ত সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সোমবার সকালে আখাউড়া থানার সামনে জড়ো হয়ে স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ।
আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় স মন দ স
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?