আল-আকসা মসজিদে সাত শতাধিক ইসরায়েলির ‘তাণ্ডব’
Published: 14th, April 2025 GMT
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের কমপ্লেক্সে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাত শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী তাণ্ডব চালিয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
আজ সোমবারের এই হামলা ছিল ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের দ্বিতীয় দিনের অংশ হিসেবে সংগঠিত তাণ্ডব।
এক বিবৃতিতে জেরুজালেমের গভর্নরেট এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর ভারী উপস্থিতিতে এই তাণ্ডব হয়েছে। ইহুদি বসতিরা সেখানে প্রবেশের সময় মসজিদের কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন ছিল।
আরো পড়ুন:
গাজা সিটির একমাত্র সচল হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চোখের জলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সমাপ্ত
এর আগের দিন রবিবারও (পাসওভারের প্রথম দিনে) প্রায় ৫০০ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একইভাবে আল-আকসায় প্রবেশ করে ও তাণ্ডব চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী ইহুদি পাসওভার ছুটির আগে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা তাদের উস্কানি কার্যকলাপ তীব্র করেছে।
পাসওভার হলো-ইহুদি ধর্মের অন্যতম পবিত্র উৎসব। এ উৎসব হজরত মূসা (আ.
ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, গত মাসে আল-আকসা মসজিদে ২১বার 'তাণ্ডব' চালানো হয়েছে। জেরুজালেমের প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকেই মসজিদের কমপ্লেক্সে ১৩ হাজার ৬৪ ইহুদি বসতি অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।
২০০৩ সাল থেকে, ইসরায়েল শুক্র ও শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই বসতি স্থাপনকারীদের আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা একে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে অভিহিত করে। তাদের দাবি, সেখানে তাদের প্রাচীন দুটি উপাসনালয় ছিল।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল কমপ ল ক স স থ পনক র ইসর য় ল প রব শ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।