কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামের এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

দেলোয়ার উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আবদুল করিম মিস্ত্রির ছেলে। তাঁকে অপহরণের বিষয়টি বাহারছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, গতকাল সকালে এলাকার দুই বাসিন্দা আবদুস সালাম (৫০) ও হাসান আহমদের (৪৫) সঙ্গে গহিন পাহাড়ে শণ কাটতে যান দেলোয়ার। সেখানে এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁদের ধাওয়া দেন। দুজন এ সময় পালিয়ে রক্ষা পেলেও সন্ত্রাসীরা দেলোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তাঁর স্ত্রী নুর নাহার বেগমের মুঠোফোনে কয়েক দফা কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছেন অপহরণকারী ব্যক্তিরা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

ফরিদ উল্লাহ আরও বলেন, পাহাড়ে থাকা কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার লোকজনকে অপহরণ করে আসছেন। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই অপহরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে অতিষ্ঠ।

দেলোয়ারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালেও অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাঁকে ফোন করেছেন। দেলোয়ারকে মারধর ও নির্যাতন করে তাঁর চিৎকারের শব্দ মুঠোফোনে শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারী ব্যক্তিরা। এত টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া কখনো সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, ‘এক ব্যক্তিকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এরপরও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১০ ল খ ট ক ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক

বাড়ির ভেতর ঢুকে বাবা-মাকে মারধরের পর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বেপারীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মূল অভিযুক্ত আটক করে পুলিশ। 

অভিযুক্ত সঞ্চয় (২০) উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকার মোঘলটুলী গ্রামের রাফিউল ইসলাম রাফির ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর সঞ্চয়সহ ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল লুট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই 

সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে পার্শ্ববর্তী কামারদহ ফেলুপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক ও তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিলেন সঞ্চয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্চয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। 

ঘটনাটি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। একটি বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
  • অপহৃতকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র ও গুলিসহ অপহরণকারী আটক
  • ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার