চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে। শেষ চারে উঠতে হলে লস ব্ল্যাঙ্কসদের জিততে হবে ৪-০ গোলের ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগ হওয়ার পর প্রথম লেগে এত বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার রেকর্ড নেই রিয়ালের। তবে ক্লাবটির সাবেক কিংবদন্তি লেফটব্যাক মার্সেলো ভিয়েরা বলেছেন- কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাদ্রিদকে কখনোই হিসেবের বাইরে রাখা যায় না।

গত সপ্তাহে এমিরেটস স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে দুটি গোল করে চমকে দিয়েছিল আর্সেনালের ডেকলান রাইস। ফলে কার্লো আনচেলত্তির দলের সামনে এখন বিশাল এক পর্বত জয় করার মতো চ্যালেঞ্জ। তবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী মার্সেলোর দাবি, মাদ্রিদের জন্য কোনো লক্ষ্যই অসম্ভব নয়!

মার্সেলো মেক্সিকোতে ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রিয়াল মাদ্রিদকে আপনি কখনোই হিসাবের বাইরে রাখতে পারেন না। তিন গোল অনেক বড় ব্যবধান, কিন্তু আমার বিশ্বাস আছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। রিয়াল মাদ্রিদ ইজ রিয়াল মাদ্রিদ, ওরা সবসময় ফিরে আসে।”

আরো পড়ুন:

১০ জনের রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়, এমবাপ্পের প্রথম লাল কার্ড

বার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়াবে রিয়াল- আনচেলত্তি

ব্রাজিলের সাবেক এই ডিফেন্ডার বর্তমানে মেক্সিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে আয়োজিত ক্লাব লেজেন্ডস ক্লাসিকো ম্যাচে অংশ নিচ্ছেন। মার্সেলো আরো বলেন, “দ্বিতীয় লেগ বার্নাব্যুতে হবে, যেখানে সমর্থকরা দারুণভাবে দলকে সমর্থন দেবে। অবশ্য আমরা জানি না কী হবে, তবে আমাদের বিশ্বাস রিয়াল ফিরে আসবে।”

মার্সেলো যোগ করেন, জেতার মানসিকতা রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের রক্তে মিশে আছে। এই মানসিকতা ক্লাবটির জার্সি গায়ে তোলার মুহূর্ত থেকেই খেলোয়াড়দের শেখানো হয়।

“আমার মনে হয়, রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমাদের শেখানো হয় কখনোই হার মানতে নেই। এটা আমাদের রক্তে মিশে আছে। অনেক বছর ধরেই এমনটা চলে আসছে, আর শুধু ডিএনএ নয়, প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রম, নম্রতা, ত্যাগ আর সমর্থকদের ভালোবাসা, এই সবকিছুই মিলেই সাফল্য এনে দেয়।”- যোগ করেন মার্সেলো।

রিয়াল মাদ্রিদ, বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে আতিথ্য দেবে। এর আগেও বহুবার কঠিন পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসার ইতিহাস গড়েছে। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে আনচেলত্তির দল একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। যার মধ্যে সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে দুটি গোল করে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করা ছিল অন্যতম।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ