গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের তিন দিন পর সাব্বির হোসেনের (১৬) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকার পরিত্যক্ত টয়লেটের ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপহৃত কিশোর সাব্বির হোসেন উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সাব্বির একই ইউনিয়ন বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে সাব্বিরের দুই বন্ধু রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮) ও বিশুবাড়ি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল আলিম (১৮) বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মূল অপহরণকারী ইউনুস আলীসহ কয়েকজন তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাত ঘনিয়ে এলেও সাব্বির বাসায় না ফেরায় তার দুই বন্ধু রবিউল ও আব্দুল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টাকার বিনিময়ে সাব্বিরকে ইউনুস আলীর হাতে তুলে দেয় বলে স্বীকার করে। এ সময় সাব্বিরের পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রবিউল ও আলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল

তিয়ানশির জালে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা, স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা

নিহতের স্বজনরা জানান, গত শনিবার দুপুরে সাব্বিরের দুই বন্ধু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার (১৫ এ্রপ্রিল) সকালে পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে ওরা বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’’ 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, দুদিন আগে সাব্বির নামে এক কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ পান। ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিউল ও আলিম নামের দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর কবিরুল নামের আরো একজনকে আটক করা হয়। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুরের বিশুবাড়ি গ্রামে।

ওসি আরো বলেন, কিছুক্ষণ আগে মূল অপহরণকারী ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ইউনুস আলী পার্শ্ববর্তী শালমারা ইউনিয়নের তরফকামাল গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/মাসুম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ অপহরণ ইউন স আল মরদ হ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার

আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
  • অপহৃতকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র ও গুলিসহ অপহরণকারী আটক
  • ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার