প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর দৃশ্যমান মাভাবিপ্রবি
Published: 15th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রধান ফটকের সংস্কার ও বৈদ্যুতিক আলোযুক্ত লোগোসহ নামফলক লাগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই সঙ্গে প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রধান ফটকে দৃশ্যমান হলো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম ও লোগো।
প্রধান ফটকের জরাজীর্ণ অবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম স্পষ্টভাবে না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষার্থীরা ফটক সংস্কার ও নতুন নামফলক বসানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড.
সরেজমিনে দেখা গেছে, রঙ করার পাশাপাশি প্রধান ফটকে লাগানো হয়েছে ৬০ বর্গফুটের একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি নামফলক। তাতে বৈদ্যুতিক আলো সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রধান ফটক সংস্কারের পাশাপাশি বাকি ফটকগুলোরও সংস্কারের কথা জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সংস্কার কাজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, “ফটক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক প্রতিচ্ছবি। অনেক শিক্ষার্থীর প্রথম আবেগ শুরু হয় সেই ফটকের সামনে থেকেই। প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দৃশ্যমান দেখে খুবই ভালো লাগছে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, “প্রধান ফটক সংস্কার ও নামফলক লাগানো খুবই দরকার ছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো যেন প্রধান ফটকে অনেক বড় করে লেখা থাকে, যা বাস্তবায়ন করেছে এই প্রশাসন।”
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান এথি বলেন, “প্রধান ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় লাগবে। যা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে তুলে ধরবে সবার কাছে।”
সংস্কার কাজের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন (চলতি দায়িত্ব) বলেন, “আমরা প্রধান ফটকের কাজ শুরু করেছি। নতুন করে রঙ করার পাশাপাশি থাকবে আলোকসজ্জিত নামফলক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। উপাচার্য স্যার অনুমতি দিলে আমরা বাকি ফটকগুলোরও সংস্কার করবো।”
মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ জানান, ‘এবার বিশ্ববিদ্যালয়কে একটু গোছানো ও সুন্দর মনে হচ্ছে। আশাকরি শিক্ষার্থীদের কাছেও এটা ভালো লাগবে।"
ঢাকা/আবিদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন মফলক ফটক র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।