রিয়ালের বার্নাব্যুতে ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়’
Published: 16th, April 2025 GMT
এখানে জাদু দেখানো হয়—সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রবেশপথে আগামীকাল চাইলে এমন কিছু লিখে রাখতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। নাহ, বার্নাব্যুর সবুজ মাঠ কোনো জাদু দেখানোর মঞ্চ না। কোট–টাই পরা কোনো জাদুকর মঞ্চে এসে আস্তিনের ভাঁজ থেকে বের করে আনবেন না সাদা কবুতর। কিংবা সবার চোখ কপালে তুলে সেই জাদুকর মানুষ কেটে জোড়াও লাগাবেন না। এই জাদু স্রেফ মনস্তাত্ত্বিক একটি চাপ।
বার্নাব্যুর গেটে এমন কিছু লেখা না থাকলেও এরই মধ্যে সেই চাপ বার্নাব্যু ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাদ্রিদ থেকে সড়ক পথে ১,৭৩১ কিলোমিটার দূরের শহর লন্ডনেও। চাপটা এমন যে একটা দল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩–০ গোলে জিতেও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু নামের এক অদৃশ্য চাপ আপনাই ভর করেছে লন্ডনের ক্লাব আর্সেনালের ওপর।
লন্ডনে এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম লেগের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের অবিশ্বাস্য দুটি ফ্রি–কিক গোল এবং সব মিলিয়ে সেদিন তিন গোল হজমের বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হয় রিয়ালের। এমন হারের পর যেকোনো দলেরই মনোবল ভেঙে যায় কিংবা চুপচাপ থেকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে লড়াইয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন১৭ মিনিটের আর্সেনাল-ঝড়ে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ, ডেকলান রাইসের ইতিহাস০৮ এপ্রিল ২০২৫কিন্তু রিয়াল মোটেই সেটা করেনি। উল্টো বিধ্বস্ত হওয়ার পর ‘বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক লম্বা’ কিংবা ‘একটা জায়গাতেই পাগলাটে ব্যাপারগুলো ঘটে, আর সেটা আমাদের ঘর’—এমন বাণী নিয়ে হাজির হতে শুরু করেন রদ্রিগো–জুড বেলিংহামরা। এসবের অর্থ একটাই, বার্নাব্যুতে মাঠে নামার আগেই আর্সেনালের মনোবল গুঁড়িয়ে দেওয়া।
শুধু সমর্থক কিংবা বর্তমান খেলোয়াড়েরাই নন, সাবেক খেলোয়াড়েরাও যোগ দিয়েছেন ‘বার্নাব্যু ক্যাম্পেইন’–এ। রিয়াল কিংবদন্তি মার্সেলো যেমনটা বললেন, ‘কখনোই রিয়াল মাদ্রিদকে বাতিল করে দিতে পারবেন না। যদিও তিন গোল অনেক বেশি। কিন্তু রিয়ালের ওপর আমার বিশ্বাস আছে যে তারা পারবে। রিয়াল মাদ্রিদ সব সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পরের লেগটি বার্নাব্যুতে। সমর্থকেরা সর্বোচ্চটা দেবে এবং খেলোয়াড়দের এই আত্মবিশ্বাস আছে যে তারা পারবে।’
লড়টাই আরতেতা ও আনচেলত্তিরও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন