ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের (ল্যাব সহকারী) পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শহরতলীর বনানী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা। এতে যানজট সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সপ্তম পবের্র শিক্ষার্থী মো.

আল আরাফাত নীরব বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা মহাসড়ক থেকে সরবো না।

ঘোষিত ৬ দফার মধ্যে রয়েছে- ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় বাতিল; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল; উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি হতে পাশ করা শিক্ষার্থীদের সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও সরকারি, রাষ্ট্রায়াত্ত্ ও স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগকৃতদো বিরুদ্ধে আইনউ ব্যবস্থা গ্রহণ; সকল শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক এবং ল্যাব সহকারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ; কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং পলিটেকনিক এবং মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্বদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

এই ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে পড়েন। এরপর সাড়ে ১১টা থেকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের বনানী এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ করতে থাকেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ