দ্বিতীয় বারের মতো নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের খুব কাছে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। মাত্র একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে চলতি বছরের অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের ১৩ আসরের টিকিট। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাহোরে আজ উইন্ডিজকে হারালে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট কাটবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০টায়। টসে জিতে ইতোমধ্যেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

চলমান আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তাতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল তাদের। বাকি দুই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই ভারত বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে নিগার সুলতানা, ফারজানাদের। রান রেট খুব ভালো থাকায় এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাকি থাকা দুই ম্যাচ কম ব্যবধানে হারলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হতে পারে বাংলাদেশের। এমন সমীকরণ নিয়েই এই ম্যাচে নামবে টাইগ্রেসরা।

বাংলাদেশ একাদশ: সুবহানা মুস্তারি, ফারজানা হক, শারমিন আক্তার, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, স্বর্না আক্তার, নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান ও মারুফা আক্তার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ