‘ডাবল ক্লিনজিং’ ত্বকের জন্য ভালো না খারাপ
Published: 17th, April 2025 GMT
মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য অনেকেই ‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি মেনে চলেন। এই পদ্ধতি কারও কারও জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। বিশেষ করে যারা ভারী মেকআপ ব্যবহার করেন না তাদের জন্য ‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি উল্টো ক্ষতিকর হতে পারে। তাহলে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ কাদের জন্য ভালো? এ নিয়েই এবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন ভারতীয় চিকিৎসক গুরবীন ওয়ারাইচ।
‘ডাবল ক্লিনজিং’ ভালো না খারাপ: ইদানীং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ -এর কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি হলো, এক বারের বদলে দুইবার মুখ পরিষ্কার করা। এই পদ্ধতিতে প্রথম বার তেল বা পানি দিয়ে মেকআপ, ধুলা, ময়লা তুলে ফেলার পর আরও এক বার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হয়। গুরবীন বলছেন, ‘‘‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতিতে কোনো ভুল নেই। তবে এই পদ্ধতি সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
এই চিকিৎসকের মতে যাদের জন্য ভালো ‘ডাবল ক্লিনজিং’
যারা সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বের হন এবং মেকআপ করেন তাদের জন্য ‘ডাবল ক্লিনজিং’ ভালো। চিকিৎসক সতর্ক করছেন, যিনি মেকআপ ব্যবহার করেননি, দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়াতে থেকেছেন, অথবা ঘরেই সময় কাটিয়েছেন তাদের এই পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের জন্য একটি ভালো ক্লিনজারই যথেষ্ট।
আরো পড়ুন:
মানসিক চাপ কমাতে তিন মাসের গাইডলাইন
রঙে রঙিন বৈশাখের শাড়ি
‘মাইসেলার ওয়াটার’-এর ব্যবহার বিধি: কেউ কেউ মেকআপ তুলে ফেলতে বা মুখে জমা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে অ ‘মাইসেলার ওয়াটার’ ব্যবহার করেন। এটি পানির মতোই। সেজন্য এটি দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে কেউ পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার কথা ভাবেন না। চিকিৎসক বলছেন, এটা ভুল পদ্ধতি। মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। কারণ সাবান দিয়ে যেমন থালা ধোওয়ার পরে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে হয়, ঠিক তেমনই।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য চ ক ৎসক ব যবহ র ম কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানি কম যে কারণে
ইরানে নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলার পর পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরান। হামলার তীব্রতাও বাড়ছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ এবং আগাম সতর্কতার কারণে ইসরায়েলে প্রাণহানি কম হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড অ্যাপ’।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ১৫-৩০ মিনিট আগেই সতর্কবার্তা পেয়ে যাচ্ছেন ইসরায়েলিরা। এরপর তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন বোমা সুরক্ষা কেন্দ্র (বোম্ব শেল্টার) ও নিরাপদ কক্ষে। প্রাণহানি এড়াতে ‘বোম্ব শেল্টার’ ও নিরাপদ কক্ষের কার্যকারিতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’ শনিবার জানিয়েছে, তারা ইরানের সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫-৩০ মিনিট আগে ইসরায়েলিদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠানো শুরু করেছে, যাতে মানুষ বোম্ব শেল্টারে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পান।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড অ্যাপের মাধ্যমে এই আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টারের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, যাঁদের বাড়িতে বোমা প্রতিরোধী কক্ষ নেই, তাঁদের সময়মতো আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এটি সহায়তা করবে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সাধারণত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক মিনিট আগেই ইরানি সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে হামলার বিষয়টি শনাক্ত করতে পারে।
একবার নিশ্চিত উৎক্ষেপণ শনাক্ত হলেই হোম ফ্রন্ট কমান্ড তাদের অ্যাপ ও মুঠোফোন সম্প্রচার পদ্ধতি (সেল ব্রডকাস্ট সিস্টেম) উভয়টি ব্যবহার করে একটি আগাম সতর্কতা দেয়, যাতে বেসামরিক নাগরিকেরা বোম্ব শেল্টারে যেতে পারেন। শুক্রবার থেকে এমনটি করে করে আসছে হোম ফ্রন্ট কমান্ড। এতে বেসামরিক নাগরিকেরা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে প্রায় ১০ মিনিট সময় পাচ্ছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার প্রায় ৯০ সেকেন্ড আগে সাইরেন বাজে। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই তাৎক্ষণিক বোম্ব শেল্টারে প্রবেশ করতে হবে আর ‘অল-ক্লিয়ার (সবকিছু স্বাভাবিক)’ বার্তা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে।
শুক্রবার রাতে ইরান যখন প্রথম ধাপে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন হোম ফ্রন্ট কমান্ড বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টারের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেয়। শনিবার বিকেলে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ হয়েছে বলে মনে হলে তারা বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টার ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি এবং সেগুলোর কাছাকাছি থাকার আর প্রয়োজন হবে না, এমন একটি হালনাগাদ বার্তা দেবে। যদি আরেকটি হামলার আশঙ্কা থাকে, তবে শুরু থেকে যে প্রক্রিয়াটি মেনে চলা হয়েছে, তা একইভাবে অনুসরণ করা হবে।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড জোর দিয়ে বলেছে, ভবন বা স্থাপনার ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ের জায়গা বোম্ব শেল্টার হিসেবে বিবেচিত হবে না, যদি না এটি সেভাবে উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের হাইফায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রের চিত্র