মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য অনেকেই ‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি মেনে চলেন। এই পদ্ধতি কারও কারও জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। বিশেষ করে যারা ভারী মেকআপ ব্যবহার করেন না তাদের জন্য ‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি উল্টো ক্ষতিকর হতে পারে। তাহলে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ কাদের জন্য ভালো? এ নিয়েই এবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন ভারতীয় চিকিৎসক গুরবীন ওয়ারাইচ।

‘ডাবল ক্লিনজিং’ ভালো না খারাপ: ইদানীং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ -এর কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি হলো, এক বারের বদলে দুইবার মুখ পরিষ্কার করা। এই পদ্ধতিতে প্রথম বার তেল বা পানি দিয়ে মেকআপ, ধুলা, ময়লা তুলে ফেলার পর আরও এক বার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হয়। গুরবীন বলছেন, ‘‘‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতিতে কোনো ভুল নেই। তবে এই পদ্ধতি সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

এই চিকিৎসকের মতে যাদের জন্য ভালো ‘ডাবল ক্লিনজিং’
যারা সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বের হন এবং মেকআপ করেন তাদের জন্য ‘ডাবল ক্লিনজিং’ ভালো। চিকিৎসক সতর্ক করছেন, যিনি মেকআপ ব্যবহার করেননি, দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়াতে থেকেছেন, অথবা ঘরেই সময় কাটিয়েছেন তাদের এই পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের জন্য একটি ভালো ক্লিনজারই যথেষ্ট।

আরো পড়ুন:

মানসিক চাপ কমাতে তিন মাসের গাইডলাইন

রঙে রঙিন বৈশাখের শাড়ি

‘মাইসেলার ওয়াটার’-এর ব্যবহার বিধি: কেউ কেউ মেকআপ তুলে ফেলতে বা মুখে জমা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে অ ‘মাইসেলার ওয়াটার’ ব্যবহার করেন। এটি পানির মতোই। সেজন্য এটি দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে কেউ পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার কথা ভাবেন না। চিকিৎসক বলছেন, এটা ভুল পদ্ধতি। মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। কারণ সাবান দিয়ে যেমন থালা ধোওয়ার পরে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে হয়, ঠিক তেমনই।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য চ ক ৎসক ব যবহ র ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ