গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার তিন শতাধিক শ্রমিক। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় ফুট ওভার ব্রিজের নিচে এ বিক্ষোভ হয়। এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ। খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরালে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকরা জানান, এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার মালিকপক্ষ তাদের বেতন-বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঈদের আগেই ছুটি দিয়ে দেয়। ছুটি শেষে তারা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধ পান।

তারা বলেন, ঈদুল ফিতরের ১২ দিনের ছুটি শেষে ১০ এপ্রিল কারখানা খোলার কথা ছিল। কিন্তু কারখানায় পর্যাপ্ত কাজ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ আরও ৬ দিন ছুটি বৃদ্ধি করে ১৭ এপ্রিল কারখানা খোলার ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখি, কাউকে না জানিয়ে মালিকপক্ষ ছুটি বৃদ্ধি করে ২২ এপ্রিল কারখানা খোলার তারিখ নির্ধারণ করে।’

শ্রমিক আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের বোনাস, দুই মাসের বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মহাসড়ক থেকে সরে যাননি। দুপুরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।

এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার মালিক হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, ‘কারখানায় কাজ না থাকায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সব দাবি পূরণ করব। 

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেষ্টায় আড়াই ঘণ্টা পর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ সড়ক অবর ধ সড়ক থ ক ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা