ভৈরবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
Published: 18th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে মিজান মিয়া (৪১) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২০জন। শুক্রবার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিজান মিয়া ভবানীপুর সোলাইমান পুর মইদর মুন্সিবাড়ির মৃত রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫৭ বছর ধরে সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে কর্তা বাড়ি ও সরকার বাড়ির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সরকার বাড়ির পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার শেফায়াত উল্লাহ এবং কর্তা বাড়ির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা তোফাজ্জল হোসেন ৷ দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত ১৪ জন খুন হয়েছেন। ১৫ এপ্রিলও তাদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এসময় ৩০ জন আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে ভবানীপুর গ্রামে সালিশ হয়। সালিশে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে সোলাইমান পুরের মইদর মুন্সিবাড়ির মিজান মিয়া আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, ভবানীপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজন চিকিৎসা নিয়েছেন। মিজান মিয়া নামে একজন মারা গেছেন। আহত অপু মিয়া ও দুধ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিজানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।