ঘরই যেন বেঙ্গালুরুর পর, বৃষ্টিবিঘ্নিত রাতটা পাঞ্জাবের
Published: 18th, April 2025 GMT
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা আরেকবার মন খারাপ করে স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে কেঁদেছে বেঙ্গালুরুর আকাশ। দক্ষিণ ভারতের এই শহরে আজ কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে।
তাতে খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা দেরিতে। তবে বৃষ্টিও বেঙ্গালুরুর জন্য আজ আশীর্বাদ বয়ে আনতে পারেনি। কোহলি-হ্যাজলউডদের দল পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে।
এম.
কিন্তু এবারের আইপিএলে ঘরই যেন বেঙ্গালুরুর পর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে এই মৌসুমে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা তিন ম্যাচেই যে হেরে গেল বেঙ্গালুরু! আজ পাঞ্জাব কিংসের আগে গত ১০ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও ২ এপ্রিল গুজরাট টাইটানসের কাছে হেরে যায় রজত পতিদারের দল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত রাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৪ ওভারে। টস জিতে বেঙ্গালুরুকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে বেঙ্গালুরুর ৯ উইকেট তুল নিয়ে ৯৫ রানে বেঁধে ফেলেন পাঞ্জাবের বোলাররা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানরাও তাঁদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেছেন। পাঞ্জাব জিতেছে ৫ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে।
সহজ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব, বেঙ্গালুরু নেমে গেছে চারে। ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে পাঞ্জাবের পয়েন্ট এখন ১০, সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট বেঙ্গালুরুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর* বৃষ্টির কারণে ১৪ ওভারের ম্যাচ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৪ ওভারে ৯৫/৯
(ডেভিড ৫০*, পতিদার ২৩; ইয়ানসেন ২/১০, চাহাল ২/১১, অর্শদীপ ২/২৩, ব্রার ২/২৫)।
পাঞ্জাব কিংস: ১২.১ ওভারে ৯৮/৫
(ওয়াধেরা ৩৩*, আর্য ১৬, ইংলিস ১৪, প্রভসিমরান ১৩; হ্যাজলউড ৩/১৪, ভুবনেশ্বর ২/২৬)।
ফল: পাঞ্জাব কিংস ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: টিম ডেভিড (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’
কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’
বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’