ভারতের দিল্লিতে চারতলা একটি ভবন ধসে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। স্থানীয় সময় শনিবার ভোরের দিকে দিল্লির মুস্তাফাবাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধসে পড়া ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েকজন আটকা থাকতে পারে বলে তারা ধারণা হচ্ছে। ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা সন্দ্বীপ লাম্বা বলেছেন, স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে ভবন ধসের খবর পায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। পরে দিল্লি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তিনি আরও বলেন, ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং চার জন মারা গেছে। ৮ থেকে ১০ জন এখনো আটকা থাকতে পারে। আহতদেরকে জিটিপি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সন্দ্বীপ লাম্বা।

দিল্লির কিছু অংশে শুক্রবার দমকা ও ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারি বৃষ্টির পর ভবন ধসের এই ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রবল ধুলিঝড়ের মধ্যে মধু বিহারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু ও দুইজন আহত হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের মেলা শুরু হচ্ছে ৮ মে

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে আবার শুরু হচ্ছে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা। নারীদের উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী করে তোলা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ৮ থেকে ১১ মে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ জানায়, এবারের মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য এসএমই খাতে তাঁদের পণ্য ও সেবাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ রয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী ৭০ জন নারী উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন। এ ছাড়া মেলার প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সিএমএসএমই খাত ও সমসাময়িক অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই সেমিনার পরিচালনা করবেন। মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

চার দিনের এই মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

গত মার্চে সিএমএসএমই খাতে কী পরিমাণ ঋণ দেওয়া হবে, তার নতুন লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৯ সালের মধ্যে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির ২৭ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিবছর এ খাতে ঋণের পরিমাণ দশমিক ৫ শতাংশ করে বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির ২৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে প্রদানের কথাও বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

এদিকে এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ হয় এসএমই খাতে। এই খাতে আড়াই কোটির বেশি মানুষ কর্মরত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ