জাতীয়তাবাদী কৃষকদল নারায়ণগঞ্জ সদর কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব একই ওয়ার্ডে হওয়ায় ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি জেলা আওতাধীন করায় দুইটি থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ১-১০ ওয়ার্ডের কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে।

নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল-আমিন খাঁন এর সুপারিশক্রমে নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সভাপতি-এনামুল হক খন্দকার স্বপন ও সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল এর সর্বসম্মতিক্রমে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের স্বাক্ষরে পৃর্থক দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই ওয়ার্ড থেকে সদর থানা কৃষক দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব মনোনীত করায় দলীয় আইন ও শৃংখলা বিনষ্টকারী বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের ইমেজ ও ঐক্যের ক্ষতি সাধন করা এবং কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকার কারনে।

দলীয় ঐক্য ও শৃংখলা রক্ষা এবং দলীয় আইন অনুযায়ী সদর থানা কৃষক দল-কে আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান আহবায়ক কমিটি (আহবায়ক- রানা মজিব -১৩ নং ওয়ার্ড, সদস্য সচিব রানা মুন্সি-১৩ নং ওয়ার্ড) বিলুপ্ত ঘোষনা করা হলো।

পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের পরবর্তী সাংগঠনিক সভায় সকল নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কৃষকদলের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে।

অন্যদিকে নারায়নগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন বাবুল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দল-কে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আওতা মুক্ত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের ইউনিট হিসেবে আওতাধীন করেন।

যেহেতু ইতিপূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে, তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দল কর্তৃক অনুমোদিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ১ নং ওয়ার্ড থেকে ১০ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের কমিটি গুলো বিলুপ্ত ঘোষনা করা হইলো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ সদর ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ন র য়ণগঞ জ সদর থ ন গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুমকি ও মে দিবসের সমাবেশ বানচাল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ১০ টি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় জোট, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন দীর্ঘ ২০ বছর যাবত শ্রমিকদের ন্যায় সংঘত অধিকার আদায়ে দক্ষতা ও সুনামের সংগে দায়িত্ব শীল ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।

ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহান মে দিবস ও আমাদের শ্রমিক ফেডারেশনের সপ্তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চাষাড়া শহীদ মিনারে স্থান বরাদ্দের জনা যথানিয়মে আবেদন করিলে সিটি করোপরেশন লিখিতভাবে ১ মে, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে এবং আমরা নির্ধারিত ফি প্রদান করি। 

তিনি বলেন, অতঃপর বিশিষ্ট কুট ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাকটার এবং কমিউনিস্ট পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদে থাকা মোঃ হাফিজ সে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন তার কথায় চলেছে।

তার ক্ষমতা জোড়ে সমাবেশের স্থান বাতিল করে দিবে। আমাদের জেলার সম্মেলন তিনি অনুষ্ঠিত হতে দিবেন না। আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করে দিবেন। আমাদের জেলা সম্মেলন হতে দিবেন না। 

অতঃপর আমরা এবিষয়ে তার সংগে একাধিক বার যোগাযোগ করিলে সে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের নাম ভাঙ্গিয়ে বলে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের প্রোগাম করবে।

আমরা সাংস্কৃতিক জোটের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সংগে আলাপ করিয়া জানিতে পাড়ি সাংস্কৃতিক জোট এই ধরনের কোন প্রোগামের ঘোষনা দেয় নাই বা তাহারা সিটি কর্পোরেশনে এই জন্য কোন আবেদন করেন নাই। মোঃ হাফিজ এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে। 

আমাদের ধারনা সে আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করিয়া উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের শান্তি শৃংক্ষলা অবনতি ঘাটাইতে পারে। এবং সে এখনো একই স্থান বিনা অনুমোদিত সময়ে পোস্টার দিয়া প্রচার চালাইতেছে। 

উল্লেখ্য, তাহার এই কর্মকান্ড স্থগিত করার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবগত করিলেও তাহার কর্মকান্ড স্থগিত করে নাই। যার কারনে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি, জিডি এন্ট্রি নং-১৫৩৯। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি নাজমূল হাসান নান্নু, জেলা কমিটির সভাপতি এফ এম আবু সাঈদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে ১০ মাস পর
  • অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, দুই বন্ধু নিহত
  • আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
  • মে দিবসের সমাবেশকে সফল করতে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা 
  • নারায়ণগঞ্জে বালক (অনূর্ধ্ব-১৫) ফুটবল প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তরুণের মৃত্যু
  • নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল সেতুর সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পুনর্নির্ধারণের দাবিতে স্মারকলিপি
  • জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত
  • জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 
  • কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন