ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনের ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো’ শেষ
মেহেদি হাসান/৬০১৪৬
সেকশন: বাংলাদেশ
ট্যাগ: ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি মেলা, সাভার
একসার্পট: দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০টি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এই চাকরি মেলায় অংশগ্রহণ করে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
মেটা: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: daffodil নামে
ক্যাপশন: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগ দুই দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’–এর আয়োজন করে ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’ শেষ হয়েছে। শুক্রবার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে এ মেলা শুরু হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যারিয়ার এক্সপোর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল মুক্তাদির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

সেলিম রেজা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মুনিরুদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান শরীফা সুলতানা ও অধ্যাপক মুনিরুদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে র‌্যালি, ফার্মা অলিম্পিয়াড, সেমিনার, কর্মশালা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন করা হয়।

এক হাজারে বেশি শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০টি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এ চাকরি মেলায় অংশগ্রহণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল মুক্তাদির বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার সঙ্গে গভীর মিথস্ক্রিয়া তৈরি হবে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ইনস্টিটিউটগুলো দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে সক্ষম হবে। সেখান থেকে ইন্ডাস্ট্রিগুলো ভালো গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।

মেলা পরিদর্শন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি, ছাত্রছাত্রীরা যাতে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। কারণ, শুধু লেখাপড়া দিয়ে চাকরির বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা সম্ভব নয়।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড আইইউ ফ র ম ইন ড স ট র র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়

‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’

গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’

প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।

আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)

সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে  প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।

আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫

‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।

কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।

আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সেরা
  • একঝলক (১৫ জুন ২০২৫)
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স, ক্লাস শুক্র ও শনিবার
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ জুন ২০২৫)