‘ধর্ষণ ও হত্যার পর ঝলসে দেওয়া হয় শিশু জুঁইয়ের মুখ’ গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি
Published: 20th, April 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে আকলিমা আক্তার জুঁই (৭) হত্যা মামলায় পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক দল মাঠে ছিল। তারা অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা ও আশপাশের গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামে।’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, মুখ ঝলসে দিলে শিশুটিকে আর কেউ চিনতে পারবে না। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা
ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিক নিহতের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে শিশু আকলিমা আক্তার জুঁইয়ের বিবস্ত্র ও মুখ ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির মা মরদেহটি জুঁইয়ের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পাবনার চাটমোহর থানায় মামলা করেন।
তার আগের দিন সোমবার শিশুটি দাদাবাড়ি সেমাই খেতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
ঢাকা/আরিফ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।
আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।
কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে