গণ–অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি লকের অর্থ হলো এর তথ্য যাচাই, সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। লক করা এনআইডি কার্যত আর ব্যবহার করা যায় না। এর ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে এই ১০ জনের এনআইডির তথ্য যাচাই বা সংশোধন করার সুযোগ থাকবে না।

ইসি সূত্র জানায়, যে ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়েছে তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এ–সংক্রান্ত একটি আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের মৌখিক নির্দেশে এই ১০ জনের এনআইডি লক করা হলো। তাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখের সই রয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসির সঙ্গে এনআইডি সেবার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ, তারা লক করা এনআইডির তথ্য দেখতে পাবে না। সাধারণত মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা একাধিকবার ভোটার হলে, কোনো কারণে এনআইডি নিয়ে তদন্ত চলমান থাকলে এনআইডি লক করা হয়। রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুরোধে তাঁদের এনআইডি লক রাখার নজিরও আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পতনের শঙ্কার মধ্যেও বেড়েছে সূচক

ঈদের দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি শেষে সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। কেনাবেচার পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। তবে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক শেয়ারের দর কমেছে।
যদিও ইরান-ইসরায়েল সামরিক সংঘাত ঘিরে দর পতনের শঙ্কা ছিল অনেকের মনে। এ সংঘাত শুরুর পরদিন শুক্রবার বিশ্বের সব বড় শেয়ারবাজারের দর পতন এ শঙ্কাকে উস্কে দেয়। সকাল ১০টায় দিনের লেনদেনের শুরুটাও হয়েছিল সেভাবে। তবে ওই ধারা আধা ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি।

লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দুপুর ১টা পর্যন্ত মিশ্রধারায় চলার পর শেষ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারের দর বাড়ে। লেনদেনও বাড়ে শেষাংশে। প্রথম তিন ঘণ্টায় যেখানে ১৫২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, সেখানে ১০ মিনিটের ক্লোজিং সেশনসহ শেষ দেড় ঘণ্টায় প্রায় ১১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

এদিন ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫২টির কম-বেশি কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৩৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৫০টির দর। 
দর বৃদ্ধির তুলনায় দর হারানো শেয়ার সংখ্যা বেশি হলেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭২৪ পয়েন্টে উঠেছে। যদিও লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে ২৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৬৮৩ পয়েন্টে নেমেছিল। পরে লেনদেন শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ওই অবস্থান থেকে ৫১ পয়েন্ট বা আগের কর্মদিবসের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭৩৪ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল। 
তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বেশির ভাগ দর হারিয়েছে। ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৩৫টির। এর মধ্যে ছয়টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত বাকি ১৮টির দর।
গতকাল ডিএসইতে ২৬৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে ৩২ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল লাভেলো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ