গাজাবাসীর প্রতি ফের সমর্থন জানালেন হলিউড অভিনেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি আবারও গাজার নিপীড়িত মানুষের প্রতি তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।  

স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গাজা নিয়ে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (ডব্লিউএফএস) একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন তিনি। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

জোলির শেয়ার করা ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যখন আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আবারও শুরু ও সম্প্রসারিত করছে, তখন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জীবনব্যবস্থা আবারও পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, গাজায় ইসরাইলের প্রাণঘাতী হামলা মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ওপর স্পষ্ট হুমকি তৈরি করেছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ