ময়মনসিংহে বাস থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
Published: 21st, April 2025 GMT
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী সিডস্টোর বাজার এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ তল্লাশিতে যাত্রীবাহী বাসে একটি ব্যাগের ভিতরে থাকা মানুষের মাথার খুলি ও বিভিন্ন হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ সদরের চরকালিবাড়ী এলাকার মো. সাইফুল (৪৫), সুতিয়াখালী গ্রামের ফারুক হোসেন ওরফে শাহিন (৪৮) ও শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার মাটিয়াকুড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন (২৪)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে নিয়মিত তল্লাশি চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম। ওই বাসে তিনজনের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে তল্লাশি করে মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়। মানবদেহের তিনটি মাথার খুলি, ২৮টি হাড় এবং প্রায় ৫০টি হাড়ের টুকরো উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি কার্যক্রমের সময় তাদের তিন জনকে আটক করা হয় এবং বাসটি জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন:
আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলার ২ আসামি কারাগারে
এ বিষয়ে ওসি আরো জানান, তিনজন শেরপুর থেকে এ সব হাড় ও খুলি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কঙ্কাল পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ভরাডোবা হাইওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোসহ যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।