তেজগাঁওয়ে ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে দারাজ-কর্মী নিহত
Published: 21st, April 2025 GMT
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে ছিনতাইকারীরই ছুরির আঘাতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ-এর কর্মী আরমান হোসেন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিল্পাঞ্চল পলিটেক এলাকায় আরমানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তাকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।
রাত ৯টার দিকে আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরো পড়ুন:
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণ যৌন নিপীড়ন: গবেষণা
হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
আরমানের বাবা মোহাম্মদ একরাম হোসেন বলেন, “আমার ছেলে দারাজ কোম্পানির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের একটি গোডাউনে কাজ করত। সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরার পথে ছিনতাই করার সময় ছিনতাইকারীদের সে বাধা দেয়। তখন তারা আমার ছেলেকে ছুরি মারে। আমারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, সে মারা গেছে।”
“গত দুই মাস আগে আমার ছেলে তিনজন ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দিয়েছিল। আজ ছিনতাইকারীদের বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন হলো আমার ছেলে। আমার ধারণা, যাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে,” যোগ করেন একরাম হোসেন।
আরমানের বাবা জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামে। তেজগাঁওয়ে পলিটেকটিকের পেছনে বেগুন বাড়ি এলাকায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন তারা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় সন্তান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় এক তরুণকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অবগত আছে।
ঢাকা/বুলবুল/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আহত আম র ছ ল ছ নত ই আরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়