রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে ছিনতাইকারীরই ছুরির আঘাতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ-এর কর্মী আরমান হোসেন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিল্পাঞ্চল পলিটেক এলাকায় আরমানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তাকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।

রাত ৯টার দিকে আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আরো পড়ুন:

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণ যৌন নিপীড়ন: গবেষণা

হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

আরমানের বাবা মোহাম্মদ একরাম হোসেন বলেন, “আমার ছেলে দারাজ কোম্পানির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের একটি গোডাউনে কাজ করত। সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরার পথে ছিনতাই করার সময় ছিনতাইকারীদের সে বাধা দেয়। তখন তারা আমার ছেলেকে ছুরি মারে। আমারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, সে মারা গেছে।”

“গত দুই মাস আগে আমার ছেলে তিনজন ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দিয়েছিল। আজ ছিনতাইকারীদের বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন হলো আমার ছেলে। আমার ধারণা, যাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে,” যোগ করেন একরাম হোসেন।

আরমানের বাবা জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামে। তেজগাঁওয়ে পলিটেকটিকের পেছনে বেগুন বাড়ি এলাকায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন তারা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় সন্তান।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় এক তরুণকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অবগত আছে।

ঢাকা/বুলবুল/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আহত আম র ছ ল ছ নত ই আরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ